স্কটল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে হ্যাজলউডের মন্তব্য রসিকতা ছিল, আশা ইংল্যান্ড কোচের

বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডকে ছিটকে দিতে কারসাজি করবে নাকি অস্ট্রেলিয়া! স্কটল্যান্ড ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব রাখার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন জশ হ্যাজলউড, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোলাটে পরিস্থিতি। অস্ট্রেলিয়ান অভিজ্ঞ পেসারের এই মন্তব্যকে অবশ্য অন্য ভাবে নিয়েছে ইংলিশ কোচ ম্যাথু মট। তার মতে, মজার ছলে কিছু না ভেবেই কথাটি বলেছেন হ্যাজলউড।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলা এরই মধ্যে নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ‘বি’ গ্রুপ থেকে পরের ধাপে যাওয়ার লড়াইয়ে আছে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভেসে যাওয়া ম্যাচের পর নামিবিয়া ও ওমানকে হারানো স্কটিশরা দেখছে সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন। তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুইয়ে থাকা দলটির রান রেটও বেশ ভালো, ২.১৬৮। দুই ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। শিরোপাধারীদের পয়েন্ট ১ ও রান রেট -১.৮০০। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট থেকে আগেভাগে বাদ পড়ার দুয়ারে দাঁড়িয়ে তারা।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে কেবল জিতলেই হবে না ইংল্যান্ডের, রান রেটে পেছনে ফেলতে হবে স্কটিশদের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপের সবশেষ ম্যাচটি আগামী রোববার খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ততদিনে পরিষ্কার হয়ে যাবে, সুপার এইটে যেতে কী করতে হবে স্কটল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের জন্য পরিস্থিতি যতটা সম্ভব কঠিন করে তোলার চেষ্টা কি করবে অস্ট্রেলিয়া? নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর এমন প্রশ্নের উত্তরে হ্যাজলউড বলেন, “হ্যাঁ, আমার তাই মনে হয়।” তার এমন মন্তব্য মনে করিয়ে দেয় ১৯৯৯ বিশ্বকাপের একটি ম্যাচের কথা। ওই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে বাদ করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রান তাড়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে মন্থর ব্যাটিং করেছিল স্টিভ ওয়াহর অস্ট্রেলিয়া। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১১১ রানের লক্ষ্যে ২৫ ওভারে ৮৩ রান তুলে ফেললেও পরের ২৮ রান তুলতে তারা খেলে আরও ১৫.৪ ওভার। এবার এমনটা করলে অবশ্য আইসিসির আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠতে পারে অধিনায়ক মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে। ‘অনুপযুক্ত কৌশল’ নিয়ে ম্যাচে কারসাজি করার জন্য দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি।

তবে অস্ট্রেলিয়া এমন কিছু করবে বলে মনে করেন না মট। নিউ সাউথ ওয়েলসে হ্যাজলউডের কোচ ছিলেন তিনি। তাই এই পেসার সম্পর্কে খুব ভালো জানেন মট।  তিনি বলেন, “আমি জশকে খুব ভালোভাবে চিনি এবং তার সততা সম্পর্কে জানি। সে খুব ভালো রসিকতা করতে পারে এবং আশা করি, তার ওই মন্তব্য মজার জন্যই ছিল। আমি সত্িযই মনে করি না যে, এটি কখনও হবে। অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে ওঠা এবং প্রতিটি ম্যাচ জেতার ইচ্ছা থাকায় আমি নিশ্চিত তারা সবার আগে থাকতে চাইবে। আমি খুবই আশাবাদী যে, এটা একজন সত্যিকারের ভালো মানুষের কোনো কিছু না ভেবেই করা মন্তব্য ছিল, যিনি মজা করেছেন।”

হ্যাজলউড অবশ্য পরে জোর দিয়ে বলেছেন, নিজেদের চাওয়া যেমনই হোক, মাঠে নেমে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবেন তারা। অজি পেসার বলেন, “বিষয়টা বেশ মজার হবে। দল হিসেবে আমরা এর আগে কখনো এমন অবস্থানে ছিলাম না, আমার মনে হয় না, তাই আমাদের আলোচনা হোক বা না হোক, আমরা আজ রাতে যেভাবে খেলেছি সেভাবেই আবার খেলার চেষ্টা করবো। এটা অন্যদের ব্যাপার, আমার নয়।”