দেশ বিদেশ
শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবারএবার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রেজিস্ট্রারের ভুয়া ডক্টরেট সনদের খবর সামনে এলে তার অপসারণের দাবি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হোসেনকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় আবিদ গত ৩০শে মে রেজিস্ট্রার সহ ৭জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, রেজিস্ট্রারের ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রির খবর সামনে এলে শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ দাবি করে ট্রাস্টি বোর্ড বরাবর স্মারকলিপি দেন। এরপর আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী আবিদসহ অন্যদের আন্দোলন থেকে সরে যেতে স্ব স্ব বিভাগের মাধ্যমে চাপ দেন রেজিস্ট্রার তাসাদ্দেক। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের উচিত শিক্ষা দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পেইন শুরু করেন। ১৪ই মে আইন বিভাগে ক্যাম্পেইন করাকালে বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক মো. লিমন হোসেন আবিদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা কেন আইন বিভাগে এসেছে- সেই কারণে জেরা করেন ওই শিক্ষক। লিমনের সঙ্গে যোগ দেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান। এ সময় তারা ‘এত বড় সাহস তুই রেজিস্ট্রার এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করিস’- বলে আবিদের কলার চেপে ধরে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে আইন বিভাগের আরেক শিক্ষক এতে তাকে ছাড়িয়ে নেন। একই দিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে আবারও হামলার শিকার হন আবির। এছাড়াও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তু দেওয়ান, মেহেদী হাসান, রাকিব মুসল্লিসহ ভাষা যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মৃদুল দেওয়ানও ওই হামলায় অংশ নেন। গুরুতর জখম অবস্থা থেকে আবিদকে উদ্ধার করে নিকটস্থ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন। ভুক্তভোগী আবিদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, মারধরের পর আমার হাঁটুর গিরাগাইট সরে যায়। কোথাও পা দিলে এটি নড়ে ওঠে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। এ ঘটনায় ভিসি স্যার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে শুনেছি। মামলার আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। এই বিষয়ে জানতে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।