দেশ বিদেশ
‘সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক’
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
১২ জুন ২০২৪, বুধবারপ্রেসিডেন্ট ও পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পাবনা প্রেস ক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যে সব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি তার মধ্যে পাবনা প্রেস ক্লাব অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এই জন্য কোনো সমালোচনা বা পিছু কথা মনে রাখি না। আমি আমার সাধ্যমতো জেলার উন্নয়নে কাজ করবো। আমি ইছামতি নদীর সৌন্দর্যবর্ধন কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে করে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর হয়। আমি ৫শ’ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করেই যাবো। তিনি আরও বলেন, আমি পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন তৈরিতে আমার সার্বিক সহায়তা থাকবে। এ জন্য যাকে বলা দরকার আমি বলবো।
সোমবার রাতে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ আড্ডায় প্রেসিডেন্ট এসব স্মৃতিচারণ করেন। প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গভবনের সচিব ওবায়দুজ্জামান খান, প্রেসিডেন্টের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. আদিল উদ্দিন, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিৎ নাগ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর্জা আজাদ, সহ-সভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, প্রেস ক্লাব সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, সাবেক সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার প্রমুখ। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় প্রেসিডেন্ট পাবনা প্রেস ক্লাবে পৌঁছালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদসহ নেতৃবৃন্দ। এর আগে প্রেসিডেন্ট পাবনা ডায়াবেটিক সমিতি, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, প্যারাডাইস মিষ্টান্ন্ন ভাণ্ডারে সময় কাটান। এর আগে রোববার দুপুরে প্রেসিডেন্ট চার দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেন। রোববার দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সড়কপথে পাবনা সার্কিট হাউসে আসেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পাবনায় এটি তার চতুর্থ সফর।