রাজনীতি
জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না, তবে...
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ২ জুন ২০২৪, রবিবার, ৩:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/112557_fkr.webp)
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু জামায়াতের যে কৌশল এবং তাদের যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া- সেটা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত, বৈজ্ঞানিক।
রোববার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জামায়াতের রাজনীতি ঠিক কমিউনিস্ট পার্টির মতো অনেকটা। তাদের স্টাডি সেল আছে। তাদের যে ছাত্রশিবির, তাদের প্রত্যেকটা সেল আছে। তাদেরকে লেখা-পড়া করতে হয়, বই পড়তে হয়। বই পড়ে তাদেরকে উত্তর দিতে হয়। তারা নিজেরা বই এবং পত্রিকা প্রকাশ করে। এগুলো যদি আপনার চর্চার মধ্যে না থাকে, আর জ্ঞানের চর্চা ও জ্ঞান ছাড়া আপনি কখনো সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে পত্রিকা খুললে শুধু লুট আর লুটের খবর। কারা লুট করছে? যারা বড় বড় কর্তা। সেই আর্মির প্রধান, পুলিশের সাবেক আইজি তারা কী করেছে? সংসদে ভদ্রলোক কয়জন খুঁজে পাবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করছে।
তিনি বলেন, আজকে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যবহার ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনে হয় তারা কী যেন হয়ে গেছে। আজকে তাদের বাহিনীর প্রধান (বেনজীর) কোথায়? রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝা বইতে হবে। মাথাপিছু ঋণ এখন ১৫৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি সহ বড় বড় প্রকল্পের নামে যেসব চুক্তি করা হয়েছে তা কোনো দেশপ্রেমিক লোক করতে পারে না। আসলে এই সরকারের লোকজন তারা তো বর্গী। সেজন্যই সমস্ত টাকা লুট করে পাচার করছে। আজকে আমাদেরকে দেশ রক্ষা করতে হলে জিয়াউর রহমানের মতো নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন। যেভাবে তারেক রহমান মাথা উঁচু করে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেটা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শরিক হই। জেলে যেতে হচ্ছে, মার খেতে হচ্ছে। তবুও বসে থাকলে চলবে না। রুখে দাঁড়াতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় এসময় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম, ডা. আবু নাসের প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
জামাতের রাজনীতি পছন্দ না করলে ১৯৯১ সনে কেন পাঠালেন আব্দুর রহমান বিশ্বাস কে, ২০০১ এ জোট করে আবার তাদের মন্ত্রী ও বানালেন কেন, আসলে আপনার মত এত ভদ্রলোক দিয়ে রাজনীতি হয় না, তাদের আদর্শ পছন্দ করবেন না আবার তাদের রাজনৈতিক সমর্থনও চাইবেন সত্যি সেলুকাস, আওয়ামী লীগ যদি মতিউর রহমান নিজামী,আলী আহসান মুজাহিদ,আব্দুল কাদের মোল্লাদেরকে সাথে নিয়ে মিটিং করতে পারে আপনাদের সমস্যা কি, এই যে বেশি ভাল সাজতে চান এখানেই আপনাদের সাথে আওয়ামী লীগের তফাৎ,নিজেদেরকে নিয়ে একটু আত্মসমালোচনা করুন, আমেরিকা এসে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেনা।
আপনি জামাত নিয়ে মন্তব্য করার কে?আপনার আর ওবাইদুল কাদের এর মধ্যে পার্থক্য কি?রাজনীতির মাঠে হেডাম লাগে,সবসময় নিতিকথায় কাজ হয়না।অধিকার আদায়ে রক্ত দিতে হয়।জিয়াউর রহমান এত এলিট দলে রেখে যায়নি।আপনারা টাকা ইনকামের জন্য দোকান খুলেছেন।এইসব এলিট দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবেনা।শয়নে স্বপনে ভাবেন এইবুঝি আমেরিকা সকল আওয়ামীলীগ এমপি র এমপিত্ব বাতিল করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছে আর আপনারা পাস করে সরকার গঠন করেছেন। এসব অলীক স্বপ্ন বাদ দিয়ে বাস্তবতার আসুন।
আপনি জামাত নিয়ে গবেষণা না করে নিজ দলের জন্য গবেষণা করুন।
এখানে অনেকেই ভুল বুঝতেছেন,,,কোনো দলই একজনের সাথে আরেকজনের আদর্শিক মিল থাকে না,,তাই তাদের আদর্শকে নিজেদের আদর্শের সাথে না মিললে সমর্থন কিভাবে করবে?
জামাতের রাজনীতি কেন পছন্দ করবেন? জামায়াত তো আর আপনাদের দলের মতো টাকা দিয়ে কর্মী ভাড়া করে আনে না। লুটপাট করে না। বাঁশির আওয়াজ শুনে পুরো ঢাকা শহরকে খালি করে দেয় না। নেয় এর পক্ষে থেকে দাঁড়িয়ে থেকে মৃত্যুবরণ করবে তবুও স্থান ত্যাগ করবে না। জামাতের মন্ত্রীরা হট ক্যারিয়ারে করে বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসতো সংসদে, এটা কি আজকের বিশ্বে কখন কল্পনা করা যায়।
সত্য ও বাস্তবতা একদিন না একদিন প্রকাশ হয়েই যায়।
মির্জা ফকরুলকে আওয়ামী লীগ থেকে, মন্ত্রীত্ব দেওয়া হোক।
এই লজ্জা রাখি কোথায় একদিকে জামাতের রাজনী পছন্দ করে না আবার জমাত শিবিরের প্রশংসাও করে এই সমস্ত নেতাদের দিয়ে বিএনপি'র কি কাজ হবে
জামায়াতের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া খুব আশ্চর্যজনক সুন্দর
শাহাদাৎ বার্ষিকী এরা উদযাপন করে! করারই কথা
কি বিচিত্র এনাদের রাজনৈতিক দর্শন। এনারাই টিকে থাকবেন রাজনীতিতে, কেননা এনাদের কোন নীতি-ই নাই। জামাতের রাজনীতি অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত, বৈজ্ঞানিক অথচ তাদের রাজনীতি সমর্থন করি না। বাম থেকে ডানে আবার সুবিধা বুঝে ডান থেকে বামে আবার অবস্থা বুঝে ডানে-বামে, কি কৌশল!!!
জামায়াতের যে কৌশল এবং তাদের যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া- সেটা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত, বৈজ্ঞানিক।