খেলা
এবার কি সালাউদ্দিন?
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ মে ২০২৪, শনিবারগত বছর ১৪ই এপ্রিল বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছর নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপরও তদন্ত অব্যাহত রেখেছিল ফিফার এথিকস কমিটির এডজুডিকেটরি চেম্বার। আগের বার সোহাগের শাস্তি ছিল ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অনিয়মের ওপর ভিত্তি করে। এবার তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে ২০২১ থেকে দায়িত্বে থাকা সময়ে নানা অসঙ্গতি। একই সঙ্গে সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে আর্থিক জরিমানাসহ সব ধরনের ফুটবল থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। স্টাফদের অনিয়ম এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঠিক তদারকির অভাবে ১৩ লাখ টাকা (১০ হাজার সুইস ফ্রা) জরিমানার মুখে পড়েছেন ফেডারেশনের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
এবার বাফুফে সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথক ফাইলও প্রকাশ করেছে ফিফা। সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের ৫২ পাতার ফিফা রিপোর্টে ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের নামও এসেছে। পাঁচ নম্বর পাতায় ২৬ নম্বর পয়েন্টে ফিফার ইনভেস্টগরি চেম্বার বাফুফের তুলনামূলক কোটেশন বিশ্লেষণ করে দেখেছে ভেন্ডর নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাফুফের ৪ জন সব সময় জড়িত ছিল। এই ৪ জন হলেন বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
বাফুফে ক্রয় নীতি অনুযায়ী কোনো ১ লাখ টাকার অধিকমূল্যের কোনো কিছু কিনতে তিনটি কোটেশন প্রয়োজন। দশ লাখ টাকা পর্যন্ত বাফুফে এই কোটেশন প্রক্রিয়ায় ক্রয় করতে পারবে। কোটেশনের মাধ্যমে ভেন্ডার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সোহাগ, আবু, সালামের সঙ্গে সালাউদ্দিনের নামও এসেছে ফিফা রিপোর্টে। দশ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে কোনো কিছু ক্রয় করার ক্ষেত্রে টেন্ডার আহ্বান করে ফেডারেশন।
ফিফা সালাম মুর্শেদীর প্রতিবেদনে বাফুফের চেক এবং বেশকিছু ডকুমেন্টসও প্রকাশ করেছে। সেখানে একটি ডকুমেন্টে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের স্বাক্ষরও দেখা গেছে। গত বছর সোহাগ নিষিদ্ধের ঘটনায় বাফুফে সভাপতির নাম আসেনি। এবার পাঁচটি পৃথক ফাইলের মধ্যে শুধু সালাম মুর্শেদীর ওপর ফিফা প্রতিবেদনে সালাউদ্দিনের প্রসঙ্গ এসেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পাঁচটি ফাইলেই ফিফা বাফুফের ক্রয় চাহিদা প্রক্রিয়া থেকে একেবারে পেমেন্ট চেক ইস্যু পর্যন্ত ধাপে ধাপে ছক আকারে প্রকাশ করেছে। ক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জড়িত না থাকলেও পেমেন্ট প্রদানে তার অনুমোদন দরকার পড়ে। বিশেষ করে কোনো জিনিস বাংলাদেশি টাকায় দশ লাখ টাকার বেশি হলে তার অনুমোদনের এখতিয়ার কেবল সভাপতিরই। দশ লাখের নিচে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা, সাধারণ সম্পাদক ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অনুমোদন করতে পারেন। গত আবু নাঈম সোহাগের রিপোর্টে বল, বিমান টিকিট ক্রয় ও আরও দু’টি বিষয়ে অসঙ্গতি পেয়েছিল ফিফা। এবার প্রকাশিত সিদ্ধান্তে বাফুফে ভবনের মাঠে জিম, জুম সেট আপ, আভ্যন্তরীণ রুম ডেকোরেশনে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে।