অনলাইন
মামলার সাক্ষী মাইকেল কোহেনের বয়ান
পর্নো তারকার মুখ বন্ধ রাখার বিষয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘জাস্ট ডু ইট’
অনলাইন ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ বন্ধ রাখতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় অন্যতম প্রধান সাক্ষী মাইকেল কোহেন। সোমবার নিউইয়র্কের আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি। এদিন কোহেন বিচারকদের বলেন, ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে পর্নো তারকাকে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে এই যৌন কেলেঙ্কারির প্রভাব যাতে না পড়ে, তাই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কোহেন বলেন, স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার বিষয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘জাস্ট ডু ইট’। ট্রাম্প অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কোহেন ২০১৭ পর্যন্ত ট্রাম্পের একটি কোম্পানির কর্মী ও আইনজীবী ছিলেন। সোমবার সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কোহেন বলেন, ট্রাম্পের সংস্থায় কাজ করার সময় তিনি ‘ফিক্সার’ হিসেবেই কাজ করেছেন। তিনি বলেন, স্টর্মি ড্যানিয়েলস ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আনার পরিকল্পনা করছেন শুনেই ট্রাম্প ভয়ংকর রেগে যান। তিনি আমাকে বলেন, এটা বিপর্যয়কর ঘটনা হবে। মেয়েরা আমাকে ঘৃণা করবে। প্রচারে তার প্রভাব পড়বে।
কোহেনের দাবি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিজস্ব কোনো ই-মেইল আইডি ছিল না। তিনি মনে করতেন, ই-মেইলে কী লেখা হলো, তার ভিত্তিতে মামলা হতে পারে। তিনি বলেন, ড্যানিয়েলসকে অর্থ দিয়ে তার মুখ বন্ধ রাখার বিষয়টি ট্রাম্প অনুমোদন করেন। খবরের কাগজেও যাতে ড্যানিয়েলস ও অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খবর প্রকাশ ঠেকানো যায়, সেজন্য সচেষ্ট হন।
ইতোমধ্যে কোহেনকে মার্কিন কংগ্রেসের সামনে মিথ্যা বলার জন্য এবং অর্থনৈতিক অপরাধ করার দায়ে ১৩ মাস জেল খাটতে হয়েছে।
এদিকে, নিউইয়র্কে ফৌজদারি মামলা ছাড়াও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা চলছে। এর ফলে বাইডেনের বিরুদ্ধে তার প্রার্থী হওয়া নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তিনি বেআইনিভাবে গোপনীয় নথিপত্র নিজের কাছে রেখেছিলেন। ট্রাম্প যাতে প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, সেজন্য জালিয়াতি করার অভিযোগে তার ১৮ জন সহযোগী অ্যারিজোনায় অভিযুক্ত হয়েছেন।