অনলাইন
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অলস বসে আছে: জিএম কাদের
সংসদ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫০ অপরাহ্ন
বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বলেছেন, প্রায় ১১০০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি অলস বসে আছে এবং উৎপাদন ছাড়াই সেগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লোডশেডিংয়ের তথ্য তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন কোন ঘাটতি হয়নি। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এমনকি শিল্পাঞ্চলেও লোডশেডিং বাড়ছে। এ কারণে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব বাড়ছে। উদাহরণ সরূপ এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের কথা বলছি। যখন সারাদেশে তীব্র দাবদাহ বিরাজমান ছিল। ঢাকার বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (পিডিবি), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো), নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এবং রুরাল ইলেকট্রিক বোর্ড (আরইবি)। দেশের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আরইবি। লোডশেডিংয়ে ভুগছে মূলত এ সংস্থার গ্রাহকেরা। মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের ৫৫ শতাংশই এ সংস্থার ।
বিরোধী দলের নেতা বলেন, শিল্পকারখানায় লোডশেডিং না করার জন্য সরকারের নির্দেশনা থাকলেও তা পুরোপুরি মানা সম্ভব হচ্ছে না। গাজীপুর মহানগরের নওজোর এলাকায় তোহা ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার মহাব্যবস্থাপক কবিরুল হাসান বলেন, ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। জেনারেটর চালু রাখলে আগে মাসে ১৫ লাখ টাকার ডিজেল লাগত, এখন ৩০-৩৫ লাখ টাকা লাগছে। ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলার কথা বলে ২ বছরের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরর্বরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে ২ বছর, ২০১৪ সালে ৪ বছর, ২০১৮ সালে ৩ বছর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালে ৫ বছরের জন্য এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর ফলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইনটি কার্যকর থাকবে। এ আইন থেকে স্পষ্ট যে বিদ্যুতের জন্য জ্বালানি আমদানি অথবা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন অথবা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অন্য কোনো কার্যক্রম, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উপস্থাপন করা যাবে না। এ আইনের আওতায় বিনা দরপত্রে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্রয়, দফায় দফায় অতিরিক্ত মূল্যে চুক্তি নবায়ন, অতি উচ্চমূল্যের এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি, বিনা দরপত্রে গ্যাস-বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণ, অবকাঠামো নির্মাণ করার সুযোগ দেয়া হয়। এ আইন অনুসারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের চাহিদার ১৭ হাজার মেগাওয়াট। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭১৬২ মেগাওয়াট। প্রয়োজনের বেশী ১০ হাজার মেগাওয়াটের উপরে উৎপাদন ক্ষম বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসে আছে। অর্থাৎ এই ১০/১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন এবং সরবরাহের বিষয়টি পিডিবির কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা প্রণয়নে বিবেচনা করা যায়, এ চিন্তাই তাদের মাথায় আসেনি। এই অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষম বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমূহ বেসরকারি খাতে অনেক বেশী সুবিধা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য। অনুসন্ধানে দেখা যায় এ ধরনের বেসরকারি মালীকানাধীন কেন্দ্র কখনও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি বা ক্ষীণ সংখ্যক বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও এর পরিমাণ হল তাদের সক্ষমতার ১-২ শতাংশ । অর্থাৎ কেন্দ্রগুলো অধিকাংশ সময়েই উৎপাদন বিহীন অলস সময় পার করেছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাড়িয়েছে সরকারি হিসাবে ২৭১৬২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১৩৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত সাধারণত ব্যবহৃত হয়। কিন্থ সম্প্রতি তাপ প্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ১৬৪৭৭ মেগাওয়াট উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছে।
অলস বসে ভাড়া গুণছে । জ্বালানি খরচে ও হচ্ছে না । এটাই তাদের লাভ । এবং মালিক আওয়ামী লীগের লোক। এর খেসারত দিচ্ছে জনগণ । বিদ্যুত বন্ধ থাকলেও বিল দিতে হচ্ছে । দেখে মনে হয় মগের মুল্লুক এর গল্প যারা শুনেছেন, দেখার সৌভাগ্য হয় নি, বাস্তবে দেখে নিন ।
অলস বসে থাকলেও ভাড়া গুনতে হয় ঠিকই । এটা জনগণের পকেটের টাকা ।
জি এম কাদের সাহেব বিরোধী দলের অভিনয় করতে চাচ্ছেন। কিন্তু পারছেন না। অভিনয় ভালো হচ্ছে ।
সে বললে কি হবে আর না বললেই কি হবে!!! তাকে বাংলার জনগন কিরকম জানে তা জরিপ করা হোক।