ঢাকা, ২০ মে ২০২৪, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক

(১ সপ্তাহ আগে) ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ২৯শে এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার দিন আজ ধার্য করেন আদালত। মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

বিজ্ঞাপন
আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০শে জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০শে অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল।

পাঠকের মতামত

বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়, বরং ভিকটিম কখনো রাষ্ট্রের কাছে বিচার পায় না,যার জলন্ত প্রমাণ বিগত বছরগুলোতে লক্ষ করলাম ঢাকা শহর একটা কলেজ ছাত্রীকে বর্তমান শাসক দলের এক নেতা গুলি করে হত্যার পরে মেয়েটির পিতা রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতে লজ্জা বোধ করলো। বাংলাদেশের সবচেয়ে বিদ্যাফিট বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবরার হত্যা বিচার হতে আমরা দৃশ্যমান দেখিনি। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুমি হত্যার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত কিংবা সরকারের বেধে দেয়া ৪৮ ঘন্টা আধো শেষ হয়নি ইত্যাদি....ইত্যাদি এই হলো বাংলাদেশের বিচার বিভাগ। শুধু দেশে বিচার বিভাগ ও পুলিশ বাহিনী বিএনপি জন্য বিচার বিভাগ তৈরি নিয়ে ব্যস্থ। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বিচার বিভাগ ধ্বংস করে বিনা ভোটে গত ২০১৪ -২০১৮ - ২০২৪ এই নির্বাচন গুলো জায়েজ করার জন্য কিছু অসাধু দুর্নীতি গ্রস্ত শিক্ষিত চোর, বিচার বিভাগ, সরকারি আমলা,পুলিশ বাহিনী যেমন খুশি তেমন তৈরি করছে। হয়তো এমনও হতে পারে ভবিষ্যতে আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ আমাদের দেশে আইন শিখতে আসবে। আমাদের আইনমন্ত্রী বিশ্বের সেরা আইনমন্ত্রী! ধন্যবাদ মানবজমিন পত্রিকার সকল নেতৃবৃন্দকে।

Imam Hossen Sujon
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৪ অপরাহ্ন

আসামীদের একজন আবেদন করলো আর স্থগিত গেল বিচারিক কার্যক্রম। বিচার বিভাগের যে দুর্দশা এতেই প্রমাণ হয়।

জামশেদ পাটোয়ারী
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:৩৪ অপরাহ্ন

অপরাধী যাবজ্জীবন পাক কিংবা ফাঁসি এতে ভিক্টিমের পরিবারের কোন কল্যাণ নেই। ন্যায় বিচার হলো বলে দেশের আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে থাকবে যার উপকার ভোগ করবে জন সাধারণ। ভিক্টিম যাকে হারিয়েছে, তার না থাকার কারণে যা কিছু হারিয়েছে তা আর ফিরে আসবেনা। তাই, যাবজ্জীবন কিংবা ফাঁসির শাস্তির বিধানে সাথে সাথে ভিক্টিমের পরিবার যাতে কিছু পায় তার ব্যাবস্থা করুন। ভিক্টিম বেঁচে থাকলে তার পরিবার যে সুবিধাগুলো পেত সে সুবিধা গুলো পাবার ব্যাবস্থা করুন। সেজন্য আইন করুন। আর কত!! অনেকতো হলো। এবার শুভ চিন্তা আসুক বড়দের মাথায়!!!

ভাবুক বেচারা
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:২৬ অপরাহ্ন

আজীজ মোহাম্মদ ভাই নয়, আজীজ মোহাম্মদ বাহায়ী । সে বাহায়ী ধর্মের অনুসারী বিভ্রান্ত করবেন না ।

Titu Meer
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:১১ অপরাহ্ন

হত্যার শাস্তি মৃত্যু দণ্ড , যাবত জীবন কেনো ?

zakiul Islam
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৪:৩০ অপরাহ্ন

দ্রুত বিচার যদি ছাব্বিশ বছরে শেষ হয় এটা কি ন্যায় বিচার হয়েছে ? জানিনা এই ছাব্বিশ বছরে বাদী, বিবাদী, সাক্ষীরা বেচে আছেন কিনা? দ্রুত বিচার আদালতের মামলা গুলো তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই শেষ করা উচিৎ না হলে বিচার প্রার্থীরা আদালতের উপর আস্থা হারাবে।

দেশ প্রেমিক
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:৩৬ অপরাহ্ন

মহাকালের নিরীখে ২৬ বছর অনুপল মাত্র। সে বিবেচনায় দ্রুততম (!) বৈকি।

মোহাম্মদ হারুন আল রশ
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:১৭ অপরাহ্ন

এরই নাম দ্রুত বিচার।

তৌফিকুর রেজা
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:০১ অপরাহ্ন

হত্যাকারীদের ফাঁসি হলোনা কেন? জানতে চাই বিস্তারিত।

Faiz Ahmed
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:৩২ অপরাহ্ন

২৬ বছর পর রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে! তো কি দরকার ছিল। এটাকে পৃষ্ঠা থেকে মুছে দিলেই তো হতো।

Rafiqul Islam
৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:০২ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

১০

ইউকে-বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত / বৃটেন থেকে ফেরত পাঠানো হবে ১১ হাজার বাংলাদেশিকে

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status