অনলাইন
কোনও মানুষ ব্ল্যাক হোলে পড়ে গেলে কী হবে? ভিডিও শেয়ার করলো নাসা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ৮ মে ২০২৪, বুধবার, ৪:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
মহাকাশ নিয়ে মানুষের বিস্ময়ের অন্ত নেই। মহাকাশের বুকে এমন কিছু বস্তু আছে যার গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এত বেশি, যার জেরে সেটি সব আলো, তাপ নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এমনকি অন্য নক্ষত্রকেও গ্রাস করে। এর থেকে আলো বা কোনো কিছুই আর বের হতে পারে না।
একেই বলা হয় ব্ল্যাক হোল। প্রত্যেক গ্যালাক্সির মাঝে একটি ব্ল্যাক হোল থাকে। যেমন মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে ‘সেগেটেরিয়াস এ’ নামের একটি ব্ল্যাক হোল পাওয়া গেছে। এমন মহাজাগতিক কৃষ্ণ গহ্বরে কোনও মানুষ যদি পড়ে যায় কী হবে? সম্প্রতি নাসা এমনই একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে আপনি নিজেও কৃষ্ণ গহ্বর সফর করে ফেলতে পারবেন ঘরে বসেই। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী জেরেমি স্নিটম্যান বিজ্ঞানী ব্রায়ান পাওয়েলের সহযোগিতায় প্রকল্পটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রকল্পটির মূলে রয়েছে 'ডিসকভার সুপার কম্পিউটার' এবং বিপুল পরিমাণ ডেটা। গন্তব্য হল পৃথিবী থেকে ৪০০ মিলিয়ন মাইল দূরের একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের মতো, যার ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪.৩ মিলিয়ন গুণ বেশি।
ক্যামেরাটি ইভেন্ট হরাইজনে পৌঁছাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় নেয়, কিন্তু কেউ যদি দূর থেকে দেখেন মনে হবে ক্যামেরা বুঝি কখনই এটিতে পৌঁছাতে পারবে না। এটি যত কাছে আসতে থাকে, ক্যামেরা যেন ততই ধীর গতিতে চলতে থাকে। নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুই সম্ভাবনা। একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে একটুর জন্য ইভেন্ট হরাইজন স্পর্শ করা যাচ্ছে না। অন্য দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, তা সীমানা পেরিয়ে চলে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে প্রবল মহাকর্ষ বলের প্রভাবে পড়ে ১২.৮ সেকেন্ডের মধ্যেই ক্যামেরাটা ভেঙেচুরে যায়। অন্য ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যখন ক্যামেরা হরাইজনের একেবারে কাছে চলে আসে আশ্চর্যজনক আচরণ করতে শুরু করে। ক্রমশই তা যেন প্রসারিত হতে থাকে। যদি কোনও মহাকাশচারী সেখানে থাকে তাহলে তিনি কিছুই বুঝবেন না। কিন্তু দূর থেকে দেখলে বোঝা যাবে সময় ক্রমশই ধীর হয়ে যাচ্ছে সেখানে। এই সময়-প্রসারণ প্রভাবের মানে হল যে যখন সেই মহাকাশচারী ফিরে আসবে, তিনি আসলে তার সহকর্মীদের চেয়ে কম বয়সী হবেন যারা ব্ল্যাক হোল থেকে দূরে ছিল।
সূত্র: এনডিটিভি