প্রথম পাতা
কাতারের সঙ্গে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারপ্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় তাৎপর্যপূর্ণ এক সফর করে গেলেন কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বাংলাদেশে প্রায় ২২ ঘণ্টা কাটিয়েছেন তিনি। ওই সময়ে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া অর্থাৎ বহুমাত্রিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের ভাষ্য মতে, কাতারের ডেলিগেশনের অভিমত ছিল এমন যেন তারা এক নতুন এক বাংলাদেশ দেখছেন। ‘সিং ইজ বিলিভিং’ অর্থাৎ দেখায় বিশ্বাসের দরজা খুলে এমনটাই স্মরণ করা হচ্ছিলো বার বার। সচিব বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে আমীরের সামনে। আমীরও বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন নতুন এভিনিউ ওপেন করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। আরও বেশি দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিতে আমীর জোর দিয়েছেন। বাংলাদেশের তরফে সেমি বা অদক্ষ শ্রমিকদের বিষয়টিও দেখভালের অনুরোধ করা হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেয়া হয়, মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমীরের নামে নামকরণ করা হচ্ছে। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন কাতারের রাষ্ট্রপ্রধান। এরপর রাষ্ট্রপতির আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ভোজে অংশ নেন। কাতারের আমীরের সম্মানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে কাতার মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত। আরবের এ দেশ বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও; যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ কাতার জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এসব কারণে কাতারের আমীর শেখ তামিমের এ সফরকে ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ হিসেবে আগে থেকেই দেখছিল সরকার। সফর শেষেও সরকারের প্রতিনিধিরা সম্ভাবনার কথাই বলছেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কাতারের আমীরের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। বিষয়টি যে আলোচনায় উঠবে তা আগের দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ধারণা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর। তাছাড়া গত দুই দশকের মধ্যে কাতারের কোনো আমীরের এটিই ছিল প্রথম বাংলাদেশ সফর। সবশেষ ২০০৫ সালে (বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে) কাতারের তখনকার আমীর (বর্তমান আমীরের পিতা) হামাদ বিন খলিফা আল থানি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
চুক্তি গুলো কি? You never get any answer as they are dealing with arms and nuclear bombs.
চুক্তি গুলো কি তা এই নিউজে উল্লেখ করা হয়নি কেন? জানতে পারি?