খেলা
কামালের রেকর্ড ভাঙতে না পারার আক্ষেপ সবুজের
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবারসোহানুর রহমান সবুজের সুযোগ ছিল হকি লীগের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার। যে রেকর্ডটা ২৯ বছর ধরে নিজের কাছে রেখেছেন রফিকুল ইসলাম কামাল। সাবেক এই তারকা ১৯৯৫ সালে ঊষা ক্রীড়া চক্রের হয়ে করেছিলেন ৪০ গোল। কামালের রেকর্ড ভাঙতে শেষ ম্যাচে তিন গোলের দরকার ছিল সবুজের। প্রতিপক্ষ যখন পুলিশ তখন রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়া খুব সম্ভব ছিল। সুযোগও এসেছিল তার। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে একটি ফিল্ড গোল করে কামালের আরো কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন সবুজ। এরপর পাঁচটি পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে কোনো গোল করতে পারেননি তিনি। তবে সবুজের হতাশার দিনে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশকে ৪-২ গোলে হাারিয়ে নিজেদের কাজটা সেরে রাখে মেরিনার্স। এদিন ম্যাচ শুরুর প্রথম ছয় মিনিটের মধ্যে তিনটি পিসি পায় মেরিনার্স। তবে সবুজ পারেননি সফল লক্ষ্যভেদ করতে। অস্টম মিনিটেই অবশ্য পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে সমতাসূচক গোল করেন সবুজ। এরপর পুরো ম্যাচে ৫২ মিনিট সময় পেয়েও আর প্রতিপক্ষের পোস্টের দেখা পাননি সবুজ। কেবল পিসি থেকে নয়, বারবার আক্রমনে উঠে চেয়েছিলেন ফিল্ড গোল করে রেকর্ড ছুঁতে। ২৫ মিনিটে ভালো একটা গোলের সুযোগ নষ্ট করে ক্ষোভ-হতাশায় স্টিক কয়েকবার আছাড় মারেন এই তারকা। ম্যাচের শেষ মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিলেন পিসি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলে আর কামালের রেকর্ড ছোঁয়া হয়নি তার। নিজের রেকর্ড আর নিজের থাকুক, সেটা চাননি রফিকুল ইসলাম কামালও। তিনি চেয়েছিলেন এই প্রজন্মের কেউ একজন তার রেকর্ডটা ভেঙে দিক। সেটা না হওয়ায় খুশি কামাল বলেন, ‘এবার তো মনে করেছিলাম রেকর্ডটা ভেঙেই যাবে। সবুজের খুব ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু হলো না। এমন সুযোগ আগামী ২৮ বছরে আসবে বলে মনে হয় না।’ কাল সবুজের খেলা দেখে বোঝাই গেছে রেকর্ডের চাপে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি তিনি। ম্যাচ শেষে সেটা স্বীকার করে সবুজ বলেন, ‘চেষ্টা করেছি। হয়তো বড়তি চাপ নেয়ার কারণে অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। আগামী এই ব্যর্থতা নিয়ে কাজ করবো।’ রেকর্ড ভাঙতে না পারার আক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে সবুজ বলেন, ‘আক্ষেপ তো আছেই। হয়তো অনেকদিন এই আপেক্ষ থাকবে। চেষ্টা করবো আগামী লীগে এই আক্ষেপ ঘোচানোর।’ এর আগে ২০১৬ সালে তিন গোলের জন্য কামালের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি রাসেল মাহমুদ জিমি।