বাংলারজমিন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের বস্তায় ধানের জাত লেখার সরকারি নির্দেশ কার্যকর হয়নি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবারচালের অন্যতম উৎপাদনকারী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ জেলায় অর্ধশতর বেশি অটো রাইস মিল রয়েছে। যেখানে উৎপাদন হয় বিভিন্ন জাতের চাল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত চাল দেশের বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ হয়। বাংলা নতুন বছরের প্রথমদিন থেকেই চালের বস্তার গায়ে জাত, দাম, উৎপাদনের তারিখ লেখার নির্দেশনা দেয়া হলেও বৈশাখের চতুর্থদিন বাজার ঘুরে দেখা যায় আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে চাল। মিলমালিকদের দাবি- এখনও তারা নতুন চাল উৎপাদন শুরু করেননি। তাছাড়াও আগের বস্তা স্টক থাকায় নতুন মোড়কে চাল আসতে সময় লাগতে পারে আরও কিছুদিন। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশির ভাগ অটো রাইস মিল এখনও উৎপাদনে যায়নি। তাই সরকারের যে নির্দেশনা, তা বাস্তবায়নে সময় লাগবে। চালের বস্তায় কিছু নির্দিষ্ট তথ্য লেখার যে পরিপত্র জারি করেছিল সরকার সেগুলো কার্যকর হয়নি। অনেকদিন ধরেই ক্রেতাদের অভিযোগ, একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল বিভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে, ন্যায্যমূল্যে পছন্দের চাল কিনতে না পেরে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। সংকট সমাধানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চালের বস্তার গায়ে লেখা থাকতে হবে ধানের জাত, মিলের ঠিকানা ও দামের সঙ্গে বেশকিছু তথ্য। বাংলা নববর্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে এর প্রতিফলন চোখে পড়েনি। গত ২১শে ফেব্রুয়ারি চালের বস্তায় ধানের জাত, প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ ও মিলগেট মূল্য লেখার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। ১৪ই এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়। পরিপত্রের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক-সহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানোও হয়। হক অটো রাইস মিলের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনাযুক্ত বস্তা ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তবে আমাদের আগের বস্তা স্টক থাকায় নতুন বস্তায় চাল সরবরাহ কিছুটা সময় লাগবে। নবাব অটো রাইস মিলের মালিক মো. আকবর আলী জানান, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন চাল উৎপাদন শুরু হবে। নতুন উৎপাদিত চাল সরকারি নির্দেশনাযুক্ত বস্তাতে সরবরাহ করা হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান বলেন, অটো রাইস মিল মালিকদের সরকারি নিদের্শনার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখনও অনেক মিল নতুন চাল উৎপাদন শুরু করেনি। নতুন চাল উৎপাদন শুরু হলে পরিপত্র বাস্তবায়ন হবে। তবে মিলমালিকদের আগের বস্তা স্টক থাকায় নতুন মোড়কে চাল আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, মিল মালিকগণ কীভাবে বস্তার গায়ে চালের মূল্য ও উৎপাদনের তারিখটা লিখতে পারেন, এ বিষয়ে তাদের কাছে নমুনা পাঠিয়েছি। তারা আমাদেরকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।