গোপালগঞ্জে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ

গোপালগঞ্জে রাতের আঁধারে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে শারমিন খানম নামের এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে তার বুক ও পিঠের অধিকাংশ স্থান ঝলসে গেছে। আহত অবস্থায় রাতেই স্থানীয় ও স্বজনেরা তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ভিকটিম শারমিন খানম বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমার ৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। আনুমানিক রাত ১টার দিকে শব্দ শুনে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। কোনো কিছু বোঝার আগেই আমার মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় আধো আলোতে প্রতিবেশী শাহীন মুন্সী, সুমি বেগম ও আনিচ মুন্সীকে দেখতে পাই। তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা লড়াই করতে নিষেধ করে।

একপর্যায়ে শাহীন মুন্সী আমাকে পানিজাতীয় কিছু ছুড়ে মারলে মুহূর্তের মধ্যে আমার বুক ও পিঠের অধিকাংশ ঝলসে যায়। আমি ছটফট করতে থাকি। এখন বুঝতে পারছি আমাকে এসিড মারা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ভিকটিমের ননদ ঝুমা খানম বলেন, জমিজমা নিয়ে ঝামেলা ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও শাহীন মুন্সীর ৮ বছরের মেয়ে সোহানাকে দিয়ে গত ৫ই জানুয়ারি ধর্ষণ মামলা করেছিল। ওই মামলায় বর্তমান ভিকটিমের পিতা সিরাজুল হক (কালু মুন্সী) জেলহাজতে আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহীন মুন্সী, সুমি বেগম ও আনিচ মুন্সী পলাতক থাকায় তাদের মতামত পাওয়া যায়নি। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ভিকটিমের ভাষ্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি তদন্ত চলছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।