বাংলারজমিন
বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
বরগুনা প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারবরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মিঠুর আপত্তিকর ভিডিও ফাঁসের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি পত্রে উল্লেখ করা হয়নি। এক মিনিট চার সেকেন্ডের ফাঁস হওয়া ভিডিওতে মিঠুর সঙ্গে আরও ৩ জনকে দেখা যায়। তারা হলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, পচা কোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। ভিডিও ফাঁসের পর তালতলী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়া ছাত্রলীগ নেতা এই মামলায় ২নং সাক্ষী। মামলাটির বাদী নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এরপর তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। সখের সুবাদে তারা পারাবাত লঞ্চে পাশাপাশি দু’টি কেবিনে আসেন। ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে তার সঙ্গে লঞ্চে যাত্রার ওই পরিকল্পনা হয়। তার (বাচ্চুর) কেবিনে এসে ওই তরুণী বলেন, ‘আমি রাতের খাবার খাইনি’। পরে খাবার খেয়ে কেবিনে কৌশলে শুইয়ে পড়েন এবং তাকে জড়িয়ে ধরে তিনি (তরুণী) মোবাইলের গোপন ক্যামেরায় আপত্তিকর ছবি তোলেন। ইতিমধ্যে ওই নারীকে পর্নোগ্রাফির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই নারী নানা অভিযোগ করেন, কামরুজ্জামান বাচ্চু, আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার ও মিনহাজুল ইসলাম মিঠু আমার নাতনিকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করেছে। এখন উল্টো প্রভাবশালী এ নেতারাই মামলার বাদী ও সাক্ষী হয়ে আমার নাতনিকে মিথ্যা পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করছি। পর্নোগ্রাফি আইনে করা ওই মামলার আসামি দু’জন। ভুক্তভোগী ওই নারী এবং জাহিদুল ইসলাম সবুজ নামে এক ব্যক্তি। ইতিমধ্যে সবুজকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক সবুজের স্ত্রী মেহেরুন মিমের দাবি, ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় ঈদের দিন বিকালে তার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলার বাদী কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, সুপার এডিটের মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারা চালায় ওই নারী। আমাদের যাদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে আমরা সবাই মিলে পর্নোগ্রাফি আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। এ ঘটনায় মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বরগুনা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি বশির আলম বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।