ঢাকা, ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

প্রেমের টানে স্বামীকে ফেলে পাকিস্তান থেকে ভারতে, সীমাকে আদালতে তলব

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:০২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

পাকিস্তানি নারী সীমা হায়দারের প্রথম স্বামীর মামলার প্রেক্ষিতে তাকে ভারতের নয়ডায় পারিবারিক আদালতে তলব করা হয়েছে। গত বছর মে মাসে তিনি অল্প বয়সী চারটি সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে আসেন। এখানে আসার পর নতুন প্রেমিক সচীন মিনা’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার প্রথম স্বামী গোলাম হায়দার বসবাস করেন পাকিস্তানের লাহোরে। সেখান থেকে তিনি আইনজীবির মাধ্যমে নয়ডায় পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। 

এই মামলায় সচীন মিনার সঙ্গে তার স্ত্রীর বিয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। ফলে আদালত সীমা হায়দারকে সমন পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, মোবাইলে পাবজি গেমস খেলতে খেলতে এক সময় ভারতের সচীন মিনার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা পার্টনার হয়ে ওঠেন। চুটিয়ে প্রেম চলতে থাকে। তারা জানান, প্রাথমিক সাক্ষাতের পর তারা কাঠমাণ্ডুতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গত মাসে তারা প্রথম বিবাহ বার্ষিকীও উদযাপন করেছেন।

আবেদনে সন্তানদের ধর্মান্তরিত করাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন গোলাম হায়দার। তার আইনজীবী মোমিন মালিকের দাবি, তার কাছ থেকে তালাক নেননি সীমা। তাই সচীনের সঙ্গে তার বিয়ে বৈধ নয়। এ জন্য সীমা হায়দারকে ২৭শে মে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। প্রথমে নিজের চার সন্তানকে নিজের জিম্মায় নিতে পাকিস্তানি শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী আনসার বারনির সহায়তা নেন গোলাম হায়দার। তিনি বলেছেন, গোলাম হায়দার সীমার পাকিস্তানি স্বামী। এরপর তিনি ভারতের একজন আইনজীবী আলি মোমিনকে ভাড়া করেছেন। তাকে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই করার জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, সীমা হায়দার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপাল হয়ে ভারতে আসেন। এ সময় তার প্রথম স্বামী কাজ করছিলেন সৌদি আরবে। এর আগে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু হয়েছেন। পাকিস্তানে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। সীমা হায়দার দাবি করেন, তার সন্তানরাও হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে। আইনজীবী বারনির মতে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের ধর্মান্তরিত করা নিষিদ্ধ।

 

পাঠকের মতামত

এটা প্রেম বা ভালবাসা কিছুই নয় নিছক 'যৌন উন্মাদনা'

Ahmad Zafar
১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৭:০৮ অপরাহ্ন

গরীব দেশে বিদেশে না গেলে সংসার চলে না । স্বামীহীন জীবন, তাই এ ধরণের ঘটনা ঘটে । প্রবাসী আয় থেকে উপকৃত হয় অন্য সদস্যরা, স্ত্রী থাকে তীর্থের কাকের মত স্বামীর অপেক্ষায়।

Kazi
১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:৩০ অপরাহ্ন

That is Not Acceptable

Mohammed Hasan
১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৫১ অপরাহ্ন

প্রেম জাত পাত মানে না।

Mujib
১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৩১ অপরাহ্ন

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status