বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে: জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, যে কোনো দুর্ঘটনায় মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসব দুর্ঘটনায় অনেক পরিবারে দুঃখ-দুর্দশা নেমে আসে। মৃত্যুর কোনো স্থান-কাল ও বয়স নেই। যেকোনো সময় যে কোনো জায়গায় হতে পারে। আমাদেরকে ভালো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ও নেক আমল করতে হবে। 

সোমবার গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও নিহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আবদুল হালিম নিহত ৪ জনের প্রত্যেক পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। 

আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন দল যারা ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েম করে মানুষের হক মানুষকে ফিরিয়ে দিতে চায়। অসৎ কর্ম ও দুর্নীতির কারণে সমাজে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ হয়। তাই সৎ পথে চলতে হবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। দুর্নীতিবাজ ও সমাজবিরোধীদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে জামায়াত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ইতোপূর্বে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত এমনকি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরিবারেও জামায়াতের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তা কোনো কৃতিত্ব নয় বরং এটা আমাদের দায়িত্ব। এটা জনগণের অধিকার।

তিনি বলেন, আমীরে জামায়াতসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রায় সকলে জেলে গেছেন। জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছেন। আমরা জীবন দিয়ে হলেও এদেশে কল্যাণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করবো, ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার, জেলার বর্তমান আমীর মো. আব্দুল করিম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি সৈয়দ আব্দুস সালেক, কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফয়সাল কবির রানা, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নায়েবে আমীর আবুল কালাম আজাদ, পলাশবাড়ী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা একরামুল হক, জামায়াত নেতা গোলাম মোস্তফা, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মশিউর রহমান প্রমুখ।