অনলাইন
আমেরিকা, জার্মানির পর এবার কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ জাতিসংঘের
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ সপ্তাহ আগে) ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ৩:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৪১ অপরাহ্ন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারি নিয়ে আগেই মুখ খুলেছে জার্মানি এবং আমেরিকা। তারা ‘ন্যায্য, স্বচ্ছ, সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করার’ দাবি জানিয়েছে ভারতের কাছে। এবার জাতিসংঘও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমরা আশা রাখছি ভারতে সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমরা ভীষণভাবে আশাবাদী যে ভারত বা যে যে দেশে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে যেমন রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়টি রয়েছে, তেমনই রয়েছে সামাজিক অধিকার। আমরা চাই, সবাই যেন নির্ভয়ে সুষ্ঠুভাবে ভয়মুক্ত পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার এবং কংগ্রেস পার্টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক এই মন্তব্য করেছিলেন। মার্কিন কূটনীতিককে ভারতের তলব করা সত্ত্বেও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পদক্ষেপগুলি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছে। ন্যায্য, স্বচ্ছ, সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়াগুলিকে উৎসাহিত করার দাবি জানানো হয় আমেরিকার তরফে। তিনি বলেন, আমরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার সহ ভারতের পদক্ষেপগুলি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছি।
তার আগে গত শুক্রবার, জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফিশার বলেছিলেন, আমরা অনুমান করি এবং আশা করি যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতিগুলি এই ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক উভয় দেশের মন্তব্যের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে, এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা । জার্মান ডেপুটি চিফ অফ মিশন, জর্জ এনজওয়েলারকে তলব করার কয়েকদিন পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক মার্কিন কূটনীতিক গ্লোরিয়া বারবেনাকেও তলব করেছিল, যিনি মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান ছিলেন। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মন্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করে ভারত। গত দুই সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা জবাব দিলো ভারত। নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনার জবাবে দিল্লি ১৫ মার্চ বলেছিল যে এটি দেশের "অভ্যন্তরীণ বিষয়"।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
কংগ্রেস ২০১৩-১৪ সালে বাংলাদেশের গনতন্ত্রের জন্য গর্ত খুড়েছিল, এখন সেই গর্তে তাঁরা নিজেরাই পড়েছে।
ভাই জাতিসংঘ বাংলাদেশের চেয়েও দুর্বল