বাংলারজমিন
দোহার-নবাবগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
দোহার ও নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবারমুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনকে ঈদ উপহার দিতে দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট ও ফ্যাশন হাউজগুলোতে ছুটছেন ক্রেতারা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা সমাগমে সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান ও শোরুম। তবে সাধারণ সময়ের চেয়ে সব ধরনের পোশাকের দাম বেশি রাখছেন বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
সরজমিন দেখা যায়, দোহারের জয়পাড়া সিটি সেন্টার অ্যান্ড নুরুল ইসলাম টাওয়ারে ব্লু-ড্রিম, ফেস টু, বেবি লাইফ স্টাইল, আমেনা ম্যানশন মার্কেটের ইউডো, পালকি, নীলাচল, আয়োজন, দর্জিবাড়িসহ অ্যাম্ব্রেলা, ভলেন্টাইন্স শোরুমে ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এ ছাড়া পোশাকের সঙ্গে মিল করে জুতা কিনতে অ্যাপেক্স, সু-মার্ট, স্মার্ট, মোল্লা সুজ ও সোহাগ সুজে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। অন্যদিকে নবাবগঞ্জের বান্দুরা, বাগমারা, বারুয়াখালী ও জয়কৃষ্ণপুর এলাকাসহ নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি শপিংমল জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদের কেনাকাটায়।
এ বিষয়ে গৃহবধূ ফারিহা হোসেন অভি জানান, কাপড়ের মান ভালো থাকলে দামটা একটু বেশি হলেও নিজের কাছে ভালো লাগে। তবে পোশাকের দামের পাশাপাশি জুতার দোকানেও দাম বেশি হওয়ায় কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা জানান, দোহারের জয়পাড়ায় বেশ কয়টি দোকানে লাগামহীন দাম নিচ্ছে। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় দিন দিন এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম নিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছেন। পোশাকের পাশাপাশি জুতা ও কসমেটিক্সের দোকানেও ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের।
ব্লু-ড্রিম শোরুমের জয়পাড়া ব্রাঞ্চের পরিচালক সাইফুল আলম মিরাজ ও ফেস টু শোরুমের পরিচালক শফিকুল ইসলাম শাহিন বলেন, দেশি ফেব্রিক্সের দাম কিছুটা কম হলেও ইন্ডিয়ান, তুর্কি ও চায়না ফেব্রিক্সের দাম একটু বেশি। সবকিছুর দাম বেশি থাকায় কাপড়ের দামও একটু বেশি। বেবি লাইফ স্টাইলের মালিক মো. হান্নান আহমেদ সুমন বলেন, দাম নিয়ে ক্রেতারা কোনো অভিযোগ করছেন না। কারণ তারা জানেন আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। তাছাড়া কোয়ালিটি পণ্য যেগুলো, সেগুলোর দাম সবসময় বেশি হয়।
এদিকে ঈদ আসলে বেড়ে যায় চুরি-ছিনতাই। তাই ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের বিপণিবিতান এলাকায় পুলিশের টহল টিম জোরদার করেছি। এ ছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। সাধারণ ক্রেতা ও ভোক্তাদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি আরও জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে এসে অনেকে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। এক্ষেত্রে পুলিশ জিরো টলারেন্সে রয়েছে। যদি কাউকে কোনো অন্যায় কাজে সম্পৃক্ত পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।