প্রথম পাতা
সারা দেশে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘটে ভোগান্তি
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার৩০ হাজার টাকা ভাতা এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৪ দফা দাবিতে একযোগে সারা দেশের প্রায় সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর এসোসিয়েশন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। ২৫ থেকে ২৯শে মার্চ পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি (ক্যাজুয়ালিটিসহ) এবং কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আশানুরূপ ফলাফল না আসায় ৫ দিনের এই পূর্ণ কর্মবিরতি এবং কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টর এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাকির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী এক বিবৃতিতে জানান, ২৪শে মার্চ আমাদের ৪ দফা দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎকালে আশানুরূপ ফলাফল না আসায় ২৫ থেকে ২৯শে মার্চ পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি (ক্যাজুয়ালিটিসহ) এবং কর্মসূচি পালনের পালন করবেন তারা। তবে ভুটানের রাজার সফর থাকার কারণে দেশের ভাবমূর্তির বিবেচনায় গতকাল ঢাকায় কোনো কর্মসূচি দেয়া হয়নি। কিন্তু ঢাকার বাইরে সকল মেডিকেল কলেজে ট্রেইনি এবং ইন্টার্ন ডাক্তারদের সমন্বিত কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এদিকে গত রোববার সকাল থেকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে এই কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে দেশ জুড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে সমস্যা হচ্ছে।
জানামতে, ইন্টার্ন ডাক্তারদের ভাতা ১৫ হাজার টাকা। আর প্রাইভেট ট্রেইনিদের দেয় ২০ হাজার,৫০ হাজার চাওয়ার পর ৫ হাজার বাড়াইছে, তাও ৯ মাসের ভাতা বকেয়া। দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে ডাক্তারদের এত কম পে করা হয়না। এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে ১৫ হাজার ২০ হাজার টাকায় কি হয়। ডাক্তারদের দাবি অন্তত্য যৌক্তিক বলে মনে করছি। কিন্তু অটোক্রেসির কনসিকুয়েন্স হলো, এসব আন্দোলন করে খুব একটা ফায়দা হবে বলে মনে হয় না। ভোট থাকলে সরকার ভয় পেত, মানুষের ভোগান্তির কথা ভাবতো। এখন তো তা নেই। হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাচার হয়, লুটপাট হয়। কিন্তু এদেশের শিক্ষকদের বেতন বাড়েনা, চিকিৎসকদের বেতন বাড়ে না। এদেশের সরকারের দরকার প্রশাসনের গুন্ডাপান্ডাদের। ওদের হাতে রাখলেই ক্ষমতা হাতে, জনগণ উচ্ছন্নে যাক, সরকারের কি আসে যায়। ডাক্তারদের ভাতাও বাড়াবেনা, রোগীদের ভোগান্তিও কমবে না। সবকিছুই গায়ের জোরে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবে দিনশেষে।