ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রকমারি

বাংলাদেশি তরুণের জলদস্যুপ্রবণ পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ মার্চ ২০২৪, শনিবার
mzamin

বাংলাদেশি তরুণ মো. লাতিফুল ইসলাম একাধিক বার পাড়ি দিয়েছেন সোমালিয়ার  জলদস্যুপ্রবণ পথ। এই পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন মানবজমিন-এর কাছে। তিনি বলেন, সোমালিয়ার এই পথ পাড়ি দেয়ার সময় একটা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থাকে। ২০১৩-১৪ সালের দিকে চার থেকে পাঁচদিনের পথ ছিল। এটা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কমিয়ে দুইদিনের পথ হয়েছে। তবে জাহাজের গতি ও আবহাওয়া বুঝে কম বেশি সময় লাগে। আমি ২০২৩ সালেও এই পথ দিয়ে এসেছি। এই পথ ২০ বারেরও  বেশি পাড়ি দিয়েছি। বাংলাদেশের যে জাহাজটা (এমভি আব্দুল্লাহ) জলদস্যুদের কবলে পড়েছে এই জাহাজেও আমি কর্মরত ছিলাম। এই পথ পাড়ি দেয়ার সময় শ্রীলঙ্কার গলের দিক থেকে সশস্ত্র প্রহরী নেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন
এই প্রহরীদের ভাড়া পাওয়া যায়। এগুলো কোম্পানি ব্যবস্থা করে দেয়। প্রহরীরা বেসরকারিভাবে কাজ করলেও তারা সরকার অনুমোদিত। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা আছে যারা এগুলো নিয়ে কাজ করে। প্রহরী নিলে আক্রমণ হলেও নিরাপদে থাকা যায়। আর আমাদের সঙ্গে কোন অস্ত্র থাকে না। থার্ড ইঞ্জিনিয়ার এই তরুণ বলেন, অভিজ্ঞতা খুবই ভীতিকর। এই পথটা পারি দেয়ার সময় অনেক কিছু নিয়ে শতর্ক থাকতে হয়। এইসময় ‘পাইরেসি প্রটেক্ট ওয়ার্ক’- বেশি করানো হয়। কোনো সন্দেহভাজন নৌকা দেখলে শতর্ক করা হয়। তখন বাজানো হয় এলার্ম। এই সময়টায় সশস্ত্র প্রহরী থাকলেও একটা ভয় থেকে যায়। পরিবারও উদ্বিগ্ন থাকে। এই সময় বিশেষ তার, হোসপাইপ ইত্যাদি জাহাজে লাগানো হয় যাতে আক্রমণ করলেও উঠতে না পারে। 

 তিনি বলেন, কোনো কারণে আক্রমণের শিকার হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে বার্তা পাঠাই। নিরাপত্তার দায়িত্বরতরা নৌকায় কিংবা উড়োজাহাজে করে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। তবে জলদস্যুরা জাহাজে উঠে পড়লে আমরা ক্যাপ্টেন ছাড়া সবাই একটা বিশেষ রুমে চলে যাই। ওখানে সবার শেষে ক্যাপ্টেন যান। এই রুমে খাবার, পানিসহ জীবন বাঁচানোর সব উপকরণ থাকে। স্যাটেলাইট ফোনেরও ব্যবস্থা থাকে। এই রুমে ঢুকে গেলে জলদুস্যরা খুঁজে পায় না এবং কিছু করতে পারে না। এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি কেন অপহরণ হলো? এর উত্তরে লাতিফুল বলেন, অনেকগুলো কারণ আছে। বর্তমানে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা যে পথ ধরে যাচ্ছিল সেখানে বিপদ কম ছিল। এই এলাকায় যাওয়ার সময় কিছু নিরাপত্তা সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়। এই জাহাজটা যখন মোজাম্বিক থেকে বের হয় তখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে নাই। এছাড়াও ডামি কিছু পুতুলের ব্যবস্থা থাকে যাতে জলদস্যুরা দূর থেকে দেখে বোঝে যে, তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু এই জাহাজে কিছু ছিল না। কারণ জাহাজটা সোমালিয়া থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। জলদস্যুরা ইরানি একটি ফিসিংবোট অপহরণ করেছিল যেটার সাহায্যে কাছাকাছি আসে। তাই আগাম শতর্কতা ছিল না তাদের।

রকমারি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

রকমারি সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status