অনলাইন
সেদিন পিলখানায় কী ঘটেছিল ডিজি মইনুলের বয়ানে
অনলাইন ডেস্ক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার
পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম। বাংলা আউটলুক নামে একটি অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, পিলখানার পরিস্থিতি বিশেষ করে অস্ত্রাগারের পরিবেশ দেখে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছিল এটি পরিকল্পিতভাবেই ঘটানো হয়েছিল এবং সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার পেছনের লোকজন ২০-২১ দিন আগেই এখানে ঢুকেছিল।
পনের বছর আগে পিলখানায় কথিত বিডিআর বিদ্রোহে সাতান্ন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর বিডিআর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান মো. মইনুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি করা হয়। জুলাই ২০১৫ সালে তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। পিলখানার মর্মান্তিক ঘটনার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি।
বাংলা আউটলুক: বিদ্রোহের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ২৮ ফেব্রুয়ারি আপনাকে তৎকালীন বিডিআর’র দ্বায়িত্ব দেয়া হলো; পিলখানায় গিয়ে কী দেখলেন?
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম: চারদিকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড ছড়ান-ছিটান। সেখানে যে ধরনের হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, তার তেমন কোনো আলামত ছিল না। কোনো রক্তের চিহ্ন নেই। খুব যত্নে ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করে রাখা হয়েছে। ওই দিনই সন্ধ্যায় পিলখানা থেকে যারা বাইরে চলে গিয়েছিল, তাদের ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয় টেলিভিশনে। আমি তখন মহাপরিচালক, আমিই জানি না। সবখানে অস্ত্রশস্ত্র, গ্রেনেড ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমি জানালাম, এখনই ঢোকানো যাবে না।
বাংলা আউটলুক: আপনি পরবর্তীতে যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, সেই কমিটিতে ছিলেন; পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে কী মনে হয়েছিল? এটি কি হঠাৎই ঘটেছিল?
মইনুল ইসলাম: হ্যাঁ। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল তখন সচিব ছিলেন। তিনিও ওই কমিটিতে ছিলেন। আমি সিভিলদের নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করেছিলাম। সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলাম। ঘটনার আগে-পরে চাইনিজদের বিষয়গুলোও আমলে নিতে বলেছিলাম। সেই সময়ের কন্ট্যাক্টগুলোর ব্যপারেও খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল। ইন্ডিয়ার বিষয়েও খোঁজ নেয়া জরুরি ছিল।
বাংলা আউটলুক: চাইনিজরা ওই দিন কী করছিল?
মইনুল ইসলাম: তখন বিডিআর’র সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান ছিল। এগুলো ছিলো স্নাইপার রাইফেল। সেগুলো চীন ডেলিভারি দেওয়ার পর সে সম্পর্কে বিডিআর সদস্যদের ধারণা দিতে একটি টিম পিলখানায় অবস্থান করছিল। ঘটনার দিন গোলাগুলি কিছুটা বন্ধ হলে তারা নিরাপদেই বের হয়ে গিয়েছিল। তদন্তে তাদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া প্রয়োজন ছিল।

বাংলা আউটলুক: ইন্ডিয়ানদের প্রসঙ্গ আসলো কেন?
মইনুল ইসলাম: স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ইন্ডিয়ান বিএসএফ পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বর্ডারের খুব কাছে অবস্থান নিয়েছিল। যুদ্ধের পর ইন্ডিয়ান বিএসএফ কয়েকটি ঘাঁটি ছেড়েছিল। আবার কোথাও কোথাও ছাড়েনি। বিডিআরের তুলনায় ইন্ডিয়ান বিএসএফ দুর্বল ছিল। কারণ বিএসএফের কমান্ডিংয়ে আর্মি ছিল না। কিন্তু বিডিআরের কমান্ডে ছিল আর্মি। ইন্ডিয়ান বিএসএফ তাদের ক্যাম্পের সীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিওপিতে অবস্থান করছিল সেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে। ১৯৭৫ সালের পর ১৯৮১ সালের আগে ইন্ডিয়ান বিএসএফকে বাংলাদেশের বিওপি ছাড়তে বাধ্য করার জন্য বেশ কয়েকটি অপারেশন শুরু হয়েছিল। অপারেশনে ইন্ডিয়ান বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। ইন্ডিয়া এটার কাউন্টার কখনো করেনি বা করতে পারেনি। সেই সক্ষমতা বিএসএফের ছিলও না। সেই সুযোগও বিএসএফ পায়নি। ইন্ডিয়া সবসময়ই চেয়েছিল, কীভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা যায়। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল মোক্ষম সময়। সেনাবাহিনীর সবগুলো মেধাবী কর্মকর্তাকে দু’দিনের মধ্যে গুলি করে মেরে ফেলা হলো। এটা সবাই সেভাবেই দেখে। এই বিষয়টিও তখন আমলে নেয়া জরুরি ছিলো, বিভিন্ন পক্ষ থেকে কথাও এসেছিল। এর ওপর পিলখানার পরিস্থিতি বিশেষ করে অস্ত্রাগারের পরিবেশ দেখে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছিল এটি পরিকল্পিত ভাবেই ঘটানো হয়েছিল এবং সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার পেছনের লোকজন ২০-২১ দিন আগেই এখানে ঢুকেছিল।
বাংলা আউটলুক: ইন্ডিয়ার সম্পৃক্ততা কি আপনাদের অনুমান ছিলো? না কোনো আলামত পেয়েছিলেন?
মইনুল ইসলাম: আমাদের কাছে মনে হয়েছে। সিম্পটমগুলো (লক্ষণ) ফুটে উঠেছিল, বিভিন্ন সময় ইন্ডিয়ান পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল। তারা বিরোধিতা করেছিল কেন বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড আর্মি দ্বারা পরিচালিত হয়। ইন্ডিয়া সবসময়ই বিডিআরের কমান্ডিংয়ে আর্মি এবং ১৯৮১ সালের আগের বেশ কয়েকটি অপারেশন এবং পরবর্তিতেও বেশ কয়েকটি অপারেশন নিয়ে প্রতিশোধপরায়ণ ছিল। তারা চেষ্টাও করেছিল। এখানেই পরিষ্কার, এখানে ইন্ডিয়ার ইন্ধন ছিল। আমরা যখন বিডিআর (বিজিবি) রিফর্ম করি তখনও ইন্ডিয়ানদের অনেক বাধার মুখে পড়েছি। আর্মি কেন বিডিআরকে কমান্ড করে এটাও ইন্ডিয়া সহ্য করতে পারত না। সঠিক তদন্ত করলে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসত। আরো অনেকের সম্পৃক্ততা ছিল। তা-ও বেরিয়ে আসত।
বাংলা আউটলুক: আর কাদের সম্পৃক্ততা ছিল বলে মনে হয়েছে?
মইনুল ইসলাম: স্থানীয় রাজনৈতিক একটি পক্ষের সম্পৃক্ততা ছিল। বিদ্রোহের আগে বেশ কয়েকবার স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সদর দপ্তরে বিভিন্ন ক্যাম্পে দ্বায়িত্ব পালনকালে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিডিআরের অভিযুক্ত জওয়ানদের পক্ষে দাবি নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিদ্রোহের দিন বিডিআরের কিছু লোক রিভেঞ্জ (প্রতিশোধপরায়ণ) ছিল। তাদের সাথে আশপাশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন ছিল। কেন বিডিআর আর্মি অফিসার দ্বারা পরিচালিত হবে- এসব নিয়ে কথাও বলেছেন তারা। ঘটনার দিন পিলখানায় গোলাগুলি চলছে, আশপাশের সাধারণ মানুষ জীবন নিয়ে নিরাপদে সরে যাচ্ছিলেন। আর পাশেই বিদ্রোহীদের পক্ষে আজিমপুরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ রাস্তায় মিছিলও করেছে। নিশ্চয়ই তাদেরও সমর্থন ছিল এই ঘটনায়। আর তারাও নিশ্চিত ছিল তাদের ওপর কেউ গুলি করবে না। সেগুলোও তদন্ত করা হয়নি। সবকটি পক্ষ মিলেই আর্মিকে শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল।
বাংলা আউটলুক: আর কী কী দুর্বলতা বা অসামঞ্জস্যতা দেখেছিলেন সেই দিন?
মইনুল ইসলাম: প্রতি বছরই একই প্রোগ্রাম হয়, একই আয়োজন থাকে। গতানুগতিকই কিছু কমিটি থাকে। কমিটিগুলোতে বিডিআরের অফিসারদেরই (ডিএডি) ইনচার্জ করা হতো। কিন্তু ওই বছরই (২০০৯ সালে) সকল কমিটির হেড করা হয়েছিল আর্মি থেকে আসা অফিসারদের। কেন আর্মি অফিসারদের প্রধান করা হলো? আর আর্মি অফিসরাদের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র দেয়া হলো না। আগ্নেয়াস্ত্রের কমান্ডিং ক্ষমতা রাখা হলো বিডিআর অফিসারদের (ডিএডি) নিয়ন্ত্রণে। তার মানে আর্মি অফিসারদের হাতে কোনো অস্ত্র দেয়া হলো না। অস্ত্র থাকল বিডিআরদের হাতেই। এ বিষয়টিরই তো হিসেব মেলেনি। এর কারণটা কী? আগে-পরে করা হলো না; কিন্তু ওই বছর কেন করা হলো? এটা তো দরকার ছিল না। করা হলো, কিন্তু আগে যখন বিডিআর’র ডিএডিরা এই দ্বায়িত্বে ছিল, তখন আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার অনুমোদন ছিল, কিন্তু যখন আর্মি অফিসারদের ওইসব কমিটির প্রধান করা হলো, অস্ত্র দেয়া হলো, কিন্তু বিডিআর’র নিয়ন্ত্রণে রাখা হলো কমান্ডিং পাওয়ার।
বাংলা আউটলুক: অস্ত্রাগার, গোলাবারুদের দ্বায়িত্বে কারা ছিল?
মইনুল ইসলাম: আর্মির অফিসারদের দায়িত্বে ছিল। গার্ড কমান্ডাররা তাদের গ্রেফতার করেছিল। গোলাবারুদ এবং অস্ত্রাগার সবই লুট হয়েছিল। সব তো নিয়ে বের হয়ে যায়নি। যার যখন যা লেগেছে, তারা নিয়ে বেরিয়ে গেছে। যখন হিসেব শুরু হলো, কতগুলো ছিল, কতগুলো আমরা পেলাম, তা না হলে তো স্টক (মজুত) মিলবে না। গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সব গণনা করা হলো। সমস্ত গোলাবারুদের বক্স থাকে সিল করা। যেগুলো সিলড সেগুলো চেক করিনি। বক্সের ওপর ওজন লেখা থাকে, মেপেছি। স্যাম্পল চেক করেছি, ঠিক ছিল। যেগুলো ঠিক ছিল না, সেগুলো চেক করে দেখেছি। গ্রেনেডের ভেতরে ফিউজ দেওয়া। মানে রেডি টু ইউজ (ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা)। এটা কী করে সম্ভব! গ্রেনেড এবং ফিউজ আলাদা বক্সে থাকে। এটি ছিলো অস্বাভাবিক ঘটনা। এরকম অনেকগুলো বক্স ছিল। এটি আগে থেকেই রেডি করা ছিল। তার মানে আগে থেকেই ভেতর থেকে কেউ এ কাজ করেছে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এ বিষয়টিও তদন্ত করা হয়নি। আমাদের খতিয়ে দেখতেও দেয়া হয়নি।
বাংলা আউটলুক: আপনি কী বলতে চাইছেন, এই বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো?
মইনুল ইসলাম: অবশ্যই ইন্ডিয়ার মদদ ছিলো। কারণ আমাদের তো আর কোনো শত্রু ছিলো না। মিয়ানমারের কিছুই করার ছিল না।
বাংলা আউটলুক: আপনাদের তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছিলো?
মইনুল ইসলাম: আমরা ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি এদের যুক্ত করে তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। কে কার কাছে কল করছে, কী বলছে। এসব বিষয় বের করার জন্য কল রেকর্ড বের করতে বলেছিলাম। এ রকম একটি অস্বাভাবিক ঘটনায় অনেক ধরনের আলামত থাকে, সেগুলো বের করা জরুরি ছিলো। কিন্তু তা করতে দেয়া হয়নি। তথ্য চেয়েও আমরা পাইনি। বলা হয়েছিল, এগুলো সিক্রেট। তাহলে আমরা তদন্ত করব কীভাবে? এ বিষয়ে সরকারকে এটা চিঠিও দিয়েছিলাম। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল আমাদর কমিটির প্রধান ছিলেন।
বাংলা আউটলুক: তদন্তে আর কী কী অস্বাভাবিক ঘটনা পেয়েছিলেন?
মইনুল ইসলাম: আরেকটি বিষয়, আমাদের কাছে খটকা লেগেছিল। সেটি হচ্ছে পিলখানার ভেতরে দু’দিনব্যাপী অফিসারদের হত্যা করা হচ্ছিল। ভেতর থেকে বাঁচার আকুতি শোনা যাচ্ছিল। বাইরে র্যাব ঘিরে রেখেছিল। আর্মি ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিল। কিন্তু তখন আর্মিকে বলা হয়েছিল, ভেতরে ঢুকলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে। তাদের ঢুকতে দেয়া হলো না কেন? এখানে অবশ্যই কোনো একটা অদৃশ্য শক্তি ইশারা করেছে। তাদের নির্দেশেই আর্মিকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এটা পরিষ্কার।
বাংলা আউটলুক: আপনারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন?
মইনুল ইসলাম: আমরা একটা প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়া, তথ্য চেয়ে না পাওয়ায় আমাদের সেই প্রতিবেদন আমলে নেয়া হয়নি। আমাদের ৭-৮ জনের ওই তদন্ত কমিটি একসাথে মিটিংও করতে পারিনি।
বাংলা আউটলুক: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হয়েছে, আপনার মন্তব্য কি?
মইনুল ইসলাম: এখানে দুই ধরনের অপরাধের বিচার হয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহের কারণ এবং পরিকল্পনা বেরই করা হলো না।
পাঠকের মতামত
পিলখানা হত্যাকান্ডে যে অপরিমেয় হ্মতি হয়েছে তা আর পূরন হওয়ার নয়
লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মইনুল ইসলামের ব্যর্থতার আসপালন ও সঙ্গতি বিহীন সাক্ষাৎকার পড়ে আশ্বস্ত হতে পারলাম না,যেহেতু পিলখানার রক্তাক্ত দুঃখজনক ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পরে পরেই জনাব মইনুল ইসলামকে ডি জি বিডিআর রূপে এই জন্যই পদায়ন করা হয় যাতে করে পিলখানায় সংগঠিত এই দুঃখজনক ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার কার্য সম্পন্ন হয়।ডিজি বিডিআর হিসেবে প্রথম সাক্ষাতেই জনাব মইনুল ইসলাম আসপালন করেন যে আমি বি ডি আরের খোল নলচে পাল্টিয়ে ইহাকে নতুন রূপে গঠন করছি এবং আমার নেতৃত্বে বিভিন্ন কমিটি বিডিআর বিদ্রোহের পূর্ণ তদন্ত করছে|আশা করি স্পেশাল ট্রুাবুনালের মাধ্যমেই বিডিআর বিদ্রোহের পূর্ণ বিচারকার্য শুরু হয়ে যাবে|কিন্তু জনাব মইনুল ইসলামের কার্যকালে ঘটনার একটি তদন্ত রিপোর্টও সমাপ্তি লাভ করেনি|বিদেশে অবস্থানরত মইনুল ইসলাম অবসর জীবনের আনন্দ উপভোগ করার মাঝে যদি তাহার বাংলা আউটলুকের এই সাক্ষাৎকার একুশে বইমেলায় প্রকাশ করতেন তাহলে তা হট কেকের মত সেল আউট হয়ে যেত|
মইনুল ইসলাম: আমরা ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি এদের যুক্ত করে তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। কে কার কাছে কল করছে, কী বলছে। এসব বিষয় বের করার জন্য কল রেকর্ড বের করতে বলেছিলাম। এ রকম একটি অস্বাভাবিক ঘটনায় অনেক ধরনের আলামত থাকে, সেগুলো বের করা জরুরি ছিলো। কিন্তু তা করতে দেয়া হয়নি। তথ্য চেয়েও আমরা পাইনি। বলা হয়েছিল, এগুলো সিক্রেট। তাহলে আমরা তদন্ত করব কীভাবে? এ বিষয়ে সরকারকে এটা চিঠিও দিয়েছিলাম। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল আমাদর কমিটির প্রধান ছিলেন।
এটা একটা ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে কাজ দেবে। ধন্যবাদ স্বাধিনতার সৈনিক মানবজমিনকে।
Porlam, janlam comment Korte parlam na Jara Shahid hoechen tader attar magfirat kamona korchi Allah rabbul alamin er kaache Dua chaci o bichar chachi
মাটি খুব কঠিন একটা জিনিস, এর উপরে কেউ পাপ করে বেচে গেছে এমন নজির ইতিহাসে নাই, ফেরাউনের মত এই ইতিহাসও একদিন লেখা হবে।
ধন্যবাদ জেনারেল মইনুল হাসান। অনেক দেরীতে হলেও এই কথা গুলো সাধারন জনগণের কাছে আপনি বলতে পারলেন। কিন্তু বড্ড দেরি করে ফেলেছেন আর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পনের বৎসরে বাংলাদেশের সেই শত্রুরা আরো অনেক বেশী প্রতিষ্টিত হয়ে পরেছে। শুধু তাই নয় ওরা ওদের এদেশিও সহচরদের নিয়ে তাদের বৃহৎ পরিকল্পনার দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রায় দারপ্রান্তে পৌঁছেও গেছে। এর দায় কিন্তু আপনাদের। যারা ভালোই আঁচ করতে পেরেছিলেন, কারা এর পেছনে ছিল, কারা এর সুযোগ সৃষ্টি করেছিল, কারা এই এই জঘন্য কাপুরুষচিত ঘটনা কে রাজনৈতিক হটকারিতার মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল এবং আজ পর্যন্ত কোন বিশ্বাসযোগ্য তদন্তও হতে দেয়নি। এদের কবল থেকে একদিন দেশকে হয়তো মুক্ত করে নিয়ে আসা যাবে কিন্তু তার জন্য আমদের সামগ্রিক মাত্রায় ১৯৭১ এর চাইতেও অনেক বড় মূল্যও দিতে হবে।
পিলখানা বাংলাদেশের সূর্য সেনাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখার জন্য মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করব।
সবই দেশ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের বর্তমান সরকার শত ভাগ জড়িত !
ধন্যবাদ বাংলা আউটলুক ও ডিজি মইনুল সাহেবকে। এই ঘটনার সারমর্ম ইতোপূর্বে জাতি তথা সারাবিশ্ব সম্যক ধারনা পেয়েছিল। এখন সংশ্লিষ্ট একজন উর্ধতন কর্মকর্তা এর সত্যায়ন যুক্ত হলো। এই সাক্ষাতকার নিয়ে যারা দ্বিমত পোষণ করে মন্তব্য করেছে এরা সব ক্ষমতাসীনদের দালাল অথবা বন্ধু দেশের গোয়েন্দা সদস্য। মীরজাফররা যুগে যুগে জন্ম নেয়।
দেশের আমজনতার ধারণাকে আরও সত্যি প্রমাণ করল এই সাক্ষাৎকার।
বি ড়ি আরের আভ্যন্তরীন কোন্দল। ঘোলা পানিতে মাছ চেষ্টা করবেন না।
স্যার নিশ্চয়ই দেশের বাইরে থেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন! দেশে থাকলে নিশ্চয়ই গুম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
এতদিনে আসল সত্যটা বেরিয়ে এসেছে যা প্রথম থেকেই অনুমেয় ছিল।
INDIA wanted to cripple our border force. Awami League wanted to remain in power by force and by deceit. The aims of both parties were congruent. Both succeeded in achieving their objectives.
কিছু বলতে চেয়েছিলাম, বলতে পারলাম না
উনি কি এখনো দেশে অবস্থান করছেন??মানে সাক্ষাৎকার দেয়ার পরে সুস্থ আছেন?
ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ তায়ালা এর সুষ্ঠু বিচার করবেন। আমিন।
গা শিউরে উঠার মত নিউজ। ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের মদদে দেশপ্রেমিক বিডিআর এর চৌকুস অফিসারদের হত্যা করে দেশের যে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে তা পোষাবার নয়। আল্লাহ আমাদের দেশকে হায়েনার কবল থেকে রক্ষা করুন।
বিভিন্ন সময় ইন্ডিয়ান পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল। তারা বিরোধিতা করেছিল কেন বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড আর্মি দ্বারা পরিচালিত হয়। ইন্ডিয়া সবসময়ই বিডিআরের কমান্ডিংয়ে আর্মি এবং ১৯৮১ সালের আগের বেশ কয়েকটি অপারেশন এবং পরবর্তিতেও বেশ কয়েকটি অপারেশন নিয়ে প্রতিশোধপরায়ণ ছিল। তারা চেষ্টাও করেছিল। এখানেই পরিষ্কার, এখানে ইন্ডিয়ার ইন্ধন ছিল। আমরা যখন বিডিআর (বিজিবি) রিফর্ম করি তখনও ইন্ডিয়ানদের অনেক বাধার মুখে পড়েছি। আর্মি কেন বিডিআরকে কমান্ড করে এটাও ইন্ডিয়া সহ্য করতে পারত না। সঠিক তদন্ত করলে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসত। আরো অনেকের সম্পৃক্ততা ছিল। তা-ও বেরিয়ে আসত।
সত্য প্রকাশ করার জন্য জাতি আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে
নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দেখতে জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
ওনার পর্যায়ের (প্রাক্তন ডিজি, বিজিবি) একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র ধারণার উপর নির্ভর করে এতবড় একটি বিয়োগান্তক ঘটনা নিয়ে সাক্ষাৎকার প্রদান যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে মনে হয় না। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যথাযথ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়ে থাকলে পদত্যাগ করতে পারতেন। যদি বলেন জীবনের ঝুঁকি ছিল, সেটা এখনো আছে। ক্ষমতার ক্রীম খাওয়া শেষ করে এখন এ ধরণের মন্তব্য দেশ-জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়।
হাবিবুল আউয়াল,পিলখানা হত্যাকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, উপহার হিসেবে আজ সরকার তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানিয়েছে, সকল দেনা শোধবোধ হবে একদিন, সবকিছু মনে রাখা হবে।
সত্য মিথ্যা জানিনা। তবে যদি আপনার কথা সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমরা অনেক অজানা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানলাম। সাথে জানা গেলো কারা জড়িত এবং কাদের কারণে সঠিক বিচার হচ্ছে না এবং বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
পিলখানা হত্যার পিছনে যে ক্ষমতাশীনরা জড়িত তা নিশ্চিত হওয়া গেল।
পরিষ্কার হয়ে গেল কারা এই হত্যা কান্ডের পিছনে ছিল।
এ বিষয়ে অনেকেই মনে অনেক প্রশ্ন। একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন কি হয়েছিল সেদিন।
লেখাগুলো পড়ার সময় রক্ত টগবগ করে জ্বলছিল।
স্বাক্ষাৎকারের তথ্য সঠিক কি না অনুসন্ধান করা উচিত
উনি কি এখন বাংলাদেশে থাকেন? এসব কথা বলা তো দুঃসাহসী কাজ!
True observation.
এই সত্য গুলো সবারই জানার ইচ্ছা গোড়া থেকেই কিন্তু আফচোষ অনেকেই তা না জেনে মৃত্যু বরন করেছে।
ইনশাআল্লাহ একদিন সত্য প্রকাশিত হবে।আর একমাত্র ন্যায়বিচারক মহান রাব্বুল আলামিন এর যথোপযুক্ত প্রতিদান দিবেন।
সত্য একদিন বেরিয়ে আসবে
ইতিহাস হয়ে থাকল। আপনার অনেক আগেই বিষয়টি জাতিকে জানানোর প্রয়োজন ছিল।
পিলখানা হত্যার সঠিক বিচার দেখতে চাই জাতী