রাজনীতি
পিলখানা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সত্যিটা জানতে চায় মানুষ: মঈন খান
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ২:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩১ অপরাহ্ন
পিলখানা তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের সত্যিটা জানতে চায় দেশের মানুষ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
আজ রোববার বনানী সামরিক কবরাস্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, যে বিচারের কথা আমরা শুনেছি সেই বিচার হয়েছে, সেই বিচার কি হয়নি, সেই বিচারে কি আপীল হয়েছে, সেই আপিলের শুনানি আজকে ১৫ বছর পার হয়েছে। তার পরর্বতীতে ২০১১ সালে আরেকটি বিস্ফোরক মামলা দেয়া হয়েছে… সেই মামলার বিচারকার্য আজকে পর্যন্ত কেনো বিলম্বিত হচ্ছে? একটি কথা আছে আমাদের বাংলা ভাষায় যে, বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে।
তিনি আরও বলেন, ইংরেজী ভাষায় একটি কথা আছে যে, যদি বিচার বিলম্বে হয় তাহলে সেই বিচারের কোনো মূল্য থাকে না। কাজেই আজকে আমরা শুনেছি যে, সেই বিচার প্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে… কেন ঝুলে আছে, কেন সেই অভিযোগে যাদেরকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে… তারা আজকে পর্যন্ত বিনা বিচারে কেন তারা কারাবাস করছে?
মঈন খান বলেন, একটি জাতির ইতিহাসে এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা কোনো জাতির ইতিহাসে কখনও ঘটেছে আমাদের জানা নেই। আজকে আমরা শুধু একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পান… আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি। অপরাধী শাস্তি পাবে সে সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলার নাই।
কিন্তু আমরা যে আইনের ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি তার ওপরের ভিত্তি করে বাংলাদেশের প্রোসপোডেন্স এবং জাস্টিস সিষ্টেম দাঁড়িয়ে আছে সেখানে একটি কথা বলা আছে সেই কথাটি হচ্ছে যে, কোনো দোষী ব্যাক্তি যদি কোনো আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায় সেটা হতে পারে না। কিন্তু একজন নির্দোষ ব্যক্তিও যেন কখনো শাস্তি না পায়। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি, সেই নীতিতে বিশ্বাস করে আমরা আজকে প্রতিটি বিডিআর‘র দুঃখজনক ট্র্যাজেডির প্রতিটি মানুষ যারা এই সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হয়েছে তাদের সুবিচার আমরা কামনা করি।
তিনি বলেন, বিচার কাজে কখনো কোনো ইন্টারফেয়ার করা যুক্তিযুক্ত নয়। এটা বিচারাধীন বিষয় আছে…আমাদের যারা বিচারক রয়েছেন তাদের যে নীতি সেই নীতিতে অবিচল থেকে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে এই বিষয়টি অতি দ্রুত সুরাহা করবেন আজকে ১৫ বছরের পরে আমরা সেই প্রত্যাশা করি।
মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বনানী সামরিক কবরাস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহি আকবর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীনসহ তৎকালীন বিডিআরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর‘র কতিপয় বিপদগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের হাতে নিরস্ত্র সেনা সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ১৫তম শাহাদাত বার্ষিকীর নিহতদের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের এই শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠান হয়।
পিলখানার বিদ্রোহ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।