অনলাইন
মিলিটারি বাসায় এসে সারারাত বসে রইলো, রাজি হইনি: ড. ইউনূস
মানবজমিন ডিজিটাল
(৭ মাস আগে) ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ১১:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের কয়জন মানুষ বলবে, আমি সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করবো না? আমিতো করলাম সেটা। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এমন মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাতে ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে 'মুখোমুখি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস' অনুষ্ঠানে ২০০৭ সালে "ওয়ান ইলেভেন" পরবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, যদি (রাষ্ট্র পরিচালনা করতে) চাইতাম, তাহলে যখন মিলিটারি আমার বাসায় এসে বসে রইলো সারারাত আমাকে রাজি করানোর জন্য, আমিতো লুফে নিতাম! রাজি করানোর জন্য বসে থাকতে হবে কেন! আমি যদি ক্ষমতা-ই চাইতাম তাহলে বলতাম, চলেন চলেন কি করতে হবে, কোন জামাটা পরতে হবে দেখিয়ে দেন, এখনই যাচ্ছি৷ আমিতো সেটা করিনি। তাদের সাথে তর্ক করেছি। সারারাত ধরে তর্ক করেছি যে- না ভাই, আমাকে দিয়েন না। আমি এ কাজের জন্য উপযুক্ত না। আপনারা অন্য লক্ষ্যে যান।
ড. ইউনূস বলছিলেন, কিন্তু তারা আমার উপর মন ঠিক করে ফেলেছে, আমাকেই নিতে হবে। আমিও বারবার বললাম তাদেরকে। শেষে তারা নিরাশ হয়েই ফিরে গেলো এই বলে যে সকাল বেলায় আবার আসবো। সকাল বেলায় আসলে তখন আপনি আমাদের বইলেন, আপনি রাজি আছেন। আমি বললাম, না, সকাল বেলায় আসলে একই কথাই পাবেন। কারণ, এটাতো এমন কিছু না যে মনের মধ্যে সন্দেহ রেখে, দ্বন্দ্ব রেখে আপনাদেরকে বলছি। অত্যন্ত পরিষ্কারভাবেই আপনাদের বলছি। না হলেতো আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যেতাম।
ড. ইউনূস প্রশ্ন করেন, "কে ছাড়ে? দেশের, সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছে...। বাংলাদেশে এমন কয়জন মানুষ আছে যে বলবে- না, আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করবো না? আমিতো করলাম সেটা। এখন আমার নামে বলা হচ্ছে, আমি নাকি ১০ বছর চেয়েছি! বছর নিয়েতো প্রশ্নই উঠে না! (তারা) প্রশ্ন করে যে, আগামীকাল সকাল বেলায় আপনি শপথ গ্রহণ করবেন? আমি বললাম, না করবো না। এরপরতো ১০ বছর...এই কান্ড...৷ আমি ১০ বছর দিয়ে করবো টা কি? আমিতো বলেছি, আমি এই কাজের জন্য নই। দেশ পরিচালনা করা আমার দায়িত্ব না, আমার কাজ না। আমি জানি না, এটা কিভাবে করতে হয়। আমি যেটা জানি, সেটা করি।"
আপনি যখন নেন নি ওরা তখন আরেকটা কলা গাছ খুঁজ ছিলো তাহলে কাকে করবো? নাম বলুন আপনি নিশ্চয়ই তখন ফকরুউদ্দীন সাহেবের নাম টা বলেছিলেন।ওনি ভাল মানুষ। আর ফকরুউদ্দীন সাহেবের সঙ্গে প্রত্যারণা করে তাকে করা হয়ে ছিলো সেনাশাসকদের জরুরি সরকার প্রধান।সম্ভবত ওই রাতে ফকরুউদ্দীন সাহেবের বাড়িতে জন্মদিন বা কোন অনুষ্ঠান ছিলো।তাকে বলা হলো দেশের প্রধান দুই দলের নেতাই তার নাম প্রস্তাব করেছে।তিনি খোঁজখবর নিয়ে রাজি হতে কয়েক ঘন্টা সময়ও চেয়েছিলো এবং প্রধান দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন সত্যিই দুই দলই তাকে চায় কিনা, কিন্তু তাকে কেউ মিস গাইড করেছে।সকালে বঙ্গভবনে শপথ নিতে গিয়ে তিনি দেখেন বিএনপি"র কেউ নেই,তিনি জানতেও নাকি চেয়েছিলেন,বিএনপি রাজী হলে কেউ নেই কেন? তখন তার আত্নীয় এনাম আহমেদ কে দেখিয়ে বলা হয়েছিলো তিনি বিএনপির প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন।এই গল্পটি কখনোই বিশ্বাস করিনি।কিন্তু যখন এনাম সাহেব একটি দলে যোগ দিলেন তখন ভাবলাম গল্পটি হয়তো সত্যও হতে পারে।কারন বোনজামাই কে নিয়ে এমন নাটকটির চূড়ান্ত রূপ তখনই প্রকাশ পেলো।
সরকার দেশ চালায়, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন সরকারী কর্মচারীরা । ডায়নামিক সরকারের জন্য ত্যাগী, সৎ,দূরদর্শী, যোগ্য এবং দেশ প্রেমিক আমলা এবং কামলার প্রয়োজন । বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য আমাদের চাকুরী ব্যবস্হায় এহেন মানুষের অভাব রয়ে গেছে । সিষ্টেমে পরিবর্তন আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা খুব বেশী দৃশ্যমান হয় না । সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং ড. ইউনুসের বক্তব্যে জানা যায় মিলিটারিদের দৌড়-ঝাঁপের বিষয়ে । যা দেশ-জাতির কাছে প্রত্যাশিত নয় । সম্ভবত ড. ইঊনুস ক্ষমতাকে না বলার এটাও একটা কারণ হতে পারে ।
এই ব্যপারটা আমি তখন জানতাম। সেনাবাহিনীর প্রথম চয়েজ ছিল ডঃ ইউনুসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করা। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় অন্য আরো তিন জনকে নিয়ে সেনাবাহিনী চিন্তা ভাবনা করে একজনকে বাছাই করে।
আপনার কথা যদি সত্য ধরে নেই, তাহলে রাজনৈতিক দল গঠন করার জন্য খোলা চিঠি লিখছিলেন কেন? রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল? সচেতন মানুষ আপনার ডাকে সাড়া দেয়নি। আপনি ফেরেশতা নন, মানুষ। আপনিও মিথ্যা বলেন। কোন দল যখন সভা - সমাবেশ করতে পারেনি তখন, আপনি করতে পেরেছিলেন।
He narrated a broad day lie story. He made the king's party take over power with Ferdous Ahmed Quraishi
আচ্ছা বলুন তো ডঃ ইউনূস ১/১১ কি ঠিক ছিল? আপনার 'নোবেল প্রাইজ' এবং '১/১১' এর মধ্যে চমৎকার relation ছিল।
Salute Sir...! but এই অভাগার দেশে আমাদের মত অবুঝ সাধারন জনগনকে এই বিপদ থেকে উদ্ধারের দিশারী হয়ে উঠুন স্যার, মতলববাজ ইন্ডিয়ার কবল থেকে আমাদের উদ্ধার করুন স্যার...?
why not 2/11..ha ha ha...
তার পরও তিনি বহু ক্ষমতা আকাংখির প্রতিদ্বন্ধি হন কি করে ? বিশ্বজুড়ে যাঁর সুনাম তাঁর প্রতি অসদয় আচরণ করে, হিংসা চর্চা করে দেশের দূর্নাম করা হচ্ছে ।
অত্যন্ত পরিষ্কারভাবেই আপনাদের বলছি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে এমন কয়জন মানুষ আছে?
"অন্ধজনে দেহো আলো, মৃতজনে দেহো প্রাণ--" --- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ মৃতজনে প্রাণ দিতে অর্থাৎ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিতে এবং অন্ধজনে আলো অর্থাৎ শিক্ষাবঞ্চিতকে শিক্ষা-জ্ঞান দিতে বলেছেন। প্রফেসর ইউনূস ব্যপক সংখ্যক ক্ষুধার্তকে খাদ্য সংস্থানের উপায় করে দিয়ে স্বীকৃতি স্বরূপ নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। অন্য আরেক মহান ব্যক্তি প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সাঈদও ব্যাপক সংখ্যক 'শিক্ষিত' মানুষকে সুশিক্ষিত করতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এজন্য প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের অবশ্যই নোবেল পুরষ্কার পাওয়া উচিত। প্রফেসর ইউনূসকে অনুরোধ করছি প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের মহতী উদ্যোগ সম্বন্ধে বিভিন্ন ফোরামে উপস্থাপন করা ও নোবেল পুরষ্কার কমিটিকেও জানানো। প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের মহান প্রচেষ্টা নোবেল পুরষ্কার কমিটির নজরে আনতে শিক্ষানুরাগী মানবতাবাদী মানুষদেরও চেষ্টা করা উচিত।
অথচ ওয়ান ইলাভেন হওয়াটাই যে অন্যায় ছিল আর্মি দের কিন্তু তিনি তা বলেননি ॥ যার পরিনতি আজকের বাকশাল ২ .০
আপনি তখন ক্ষমতা না নিয়ে ভুল করেছেন তার মাশুলও দিচ্ছেন।এবার আশা করি বুঝতে পারছেন শ্রদ্ধেয় ডক্টর ইউনুস।
আপনি দায়িত্ব না নিয়ে মস্তবড় ভুল করেছেন। দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেছেন। আপনি যদি দেশের স্বার্থে দায়িত্ব নিতেন তাহলে নিজে এবং দেশের জনগণ ভালো থাকত। দায়িত্ব না নেওয়ার কারণে দেশের জনগণের পক্ষ থেকে আপনার বিচার হওয়া উচিৎ।
যদি প্রফেসর ইউনুস সরকার প্রধান হতে না চাইতেন তাহলে উনি রাজনৈতিক দল গঠন কি বিরোধী দল হওয়ার জন্য করতে চেয়েছিলেন? সম্ভবত প্রফেসর ইউনুস যেভাবে সরকার প্রধান হতে চেয়েছিলেন আর্মি সেভাবে রাজি হয়নি।তারপর ও বলব ক্ষমতা গ্রহণ করবো না বলার হিম্মত সবার হয়না।
মানুষ মনে করে, ডঃ ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে।
আপনি চাননি বলেই তারা দেশটাকে মেরুদণ্ড হীন করে রেখেগেছে! এটা থেকে পরিত্রান পেতে হলে আরএকটি ওয়ানএলিবেন ছাড়া সম্ভব নয়! যে যাই বলুক!