দেশ বিদেশ
প্রতিশোধ নিতেই বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়ানো হচ্ছে: রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার
জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী মার্চে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আবারো বৃদ্ধি করবে সরকার। গণবিরোধী সরকার জবাবদিহিতার ধার ধারে না। এই অবৈধ সরকারের পক্ষে কোনো গণরায় নেই। গত ৭ই জানুয়ারি ডামি নির্বাচন জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানো হচ্ছে। দখলদার সরকার ঐতিহ্যগতভাবেই নিপীড়ক হয়। জনগণকে শত্রুপক্ষ ভাবে। তাই ক্ষমতা দখলে রেখে একের পর এক জনগণের উপর অতিমাত্রায় জুলুমের খড়গ নামিয়ে আনে। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত হবে অতীব নিষ্ঠুর। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হলে এর চেইন রিঅ্যাকশনে জনসাধারণের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কৃষি-শিল্প, কলকারখানা গভীর সংকটে পড়বে। এমনিতেই বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে।
মানুষ তার প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এর উপরে এই দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের উপর চরম আঘাত আনবে। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে বিএনপি’র কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অবশ্যই আসবে। যদি এই রকম সিদ্ধান্তে তারা (সরকার) যায় তাহলে আমরা অবশ্যই কর্মসূচি দেবো। ছাত্রদল ও যুবদলের কমিটি ভেঙে দেয়া প্রসঙ্গে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমাদের কোনো মন্তব্য প্রকাশ করলে আমাদেরকে জিজ্ঞাস করে করবেন। ছাত্রদল ও যুবদলের কমিটি ভেঙে দেয়া হচ্ছে, কোথা থেকে এই অদ্ভুত নিউজ করা হলো, সেটা আমরা জানি না। সেখানে আমার নাম বক্তব্যে দেয়া হয়েছে। অথচ আমাকে জিজ্ঞাস করা হয়নি! মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান দখলদার শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য অন্তঃপ্রাণ দেখালেও বাস্তবে দেশকে পরিণত করা হচ্ছে ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচর্যা কেন্দ্র হিসেবে। আত্মনির্ভরশীলতার স্থলে পরনির্ভরশীলতাকে করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় নীতি। এখন ভারত থেকে কচুরমুখিও আমদানি করতে হয়। প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংস করে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত এখন ছেপে আসে ভারত থেকে। পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত অনেক প্রবন্ধ কবিতায় বানান ভুলে ভর্তি। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বাংলা ভাষার চর্চাকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য নানা কায়দায় পার্শ্ববর্তী দেশের রাষ্ট্রভাষার চর্চাকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে নিরন্তরভাবে।