খেলা
‘মেসি’ খেলেন মেসি
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, ২:০৭ অপরাহ্ন
খাবার মেন্যু দেখে ওয়েটারকে একটি ‘মেসি’ অর্ডার করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়েটার হাজির আপনার কাক্সিক্ষত অর্ডার নিয়ে। আপনি আপন মনে মেসিকে চিবানো শুরু করলেন। উদ্ভট শোনাচ্ছে? আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে সত্যিই খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক চেইন রেস্টুরেন্ট হার্ড রক ক্যাফে।
তবে পিএসজির ৩০ নম্বর জার্সিধারী মেসিকে নয়; হার্ড রক ক্যাফেতে মিলছে মেসির নামে বার্গার খাওয়ার সুযোগ। প্রায় তিন মাস ধরে পাওয়া যাচ্ছে এই বার্গারটি। এতোদিন পর অবশেষে নিজের নামের সেই বার্গারের স্বাদ নিলেন লিওনেল মেসি।
ব্যস্ত মৌসুম শেষে অবকাশ যাপনে রয়েছেন মেসি। পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে স্পেনের ইবিজায় রয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। হার্ড রকের সেখানকার শাখায় বার্গার খাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে মেসি লিখেন, ‘ইবিজার হার্ড রকে মেসি বার্গারের স্বাদ নিচ্ছি।’
গত মার্চে মেসি বার্গার বাজারে আনার ঘোষণা দেয় হার্ড রক ক্যাফে কর্তৃপক্ষ। হার্ড রক ক্যাফের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছর এই চেইন রেস্টুরেন্টের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন মেসি। নতুন করে হার্ড রক ক্যাফের সঙ্গে আরও ৫ বছরের চুক্তি করার কথা ছিল তার।
যুক্তরাজ্যের গ্রাহকরা হার্ড রক ক্যাফে থেকে মেসি বার্গার খেতে পারবেন মাত্র ১০ পাউন্ড খরচ করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১৫০ টাকার সমান। মেসি বার্গারের বিশেষত্ব হলো ব্রইশ বানের মাঝে এটিতে দুটি বড় সাইজের বিফ প্যাটি থাকে এটিতে। পাশাপাশি বেশ কিছু টপিংস, হার্ড রক ক্যাফের স্কোমি বার্গার সস, প্রোভোলন লস, ক্যারাম্যালাইজড রেড অনিয়ন এবং স্লাইসড চোরিজোও রয়েছে। আর বার্গারের উপর কাঠিতে বাঁধানো থাকে ‘এটা আমার মেসি বার্গার’ খচিত ফুটবল আকৃতির ছোট প্ল্যাকার্ড।
১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাত্রা শুরু করে হার্ড রক ক্যাফে। বর্তমানে এর প্রধান শাখা ফ্লোরিডায় অবস্থিত। বিশ্বে সবমিলিয়ে ১৮০টি রেস্টুরেন্ট, ২৪টি হোটেল ও ১১টি ক্যাসিনো রয়েছে হার্ড রক ক্যাফের।