দেশ বিদেশ
আদাবরে অস্ত্রহাতে গণছিনতাই
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবাররাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর থানার পিসিকালচার হাউজিং এলাকায় অস্ত্র হাতে গণছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছিনতাইকারীরা কয়েকজন পথচারী ও দোকানিকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে আদাবর থানার সেখেরটেক (পিসিকালচার) হাউজিংয়ের ১/১ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় থানা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ৮ থেকে ১০ জনের একটি কিশোর দল চাপাতি ও ছোড়া হাতে শেখেরটেক হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়ক দিয়ে ঢুকে ছিনতাই শুরু করে। ১ নম্বর রোড থেকে পাশের ১/১ নম্বর সড়কে আসে। তখন অস্ত্র হাতে কিশোররা প্রথমে কয়েকজনকে মারধর করে পরে দোকান ও পথচারীদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, তারা এই এলাকার কেউ না। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ৮ থেকে ১০ জনের কিশোর দলের কয়েকজনের হাতে ধারালো চাপাতিসহ দেশি অস্ত্র। সবার মুখে মাস্ক। বেশির ভাগই কালো পোশাক পরিহিত। দলটি প্রথমেই ১ নম্বর সড়কের পাশে একটি মোটরসাইকেলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চারজনকে টার্গেট করে এগিয়ে যায়। অস্ত্র হাতে দলটির কয়েকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলা থেকে দুইজন দৌড় দিয়ে চলে গেলেও বাকি দুজনকে চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে মারধর করা হয়। অস্ত্রের মুখে দু’জনের মোবাইল ও টাকা পয়সা কেড়ে নেয়া হয়। জানা গেছে, এই চারজন বেসরকারি ব্যাংক ব্র?্যাকের কর্মকর্তা। তারা লোন বিভাগে কাজ করেন।
ছিনতাইয়ের শিকার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মো. ফয়জুল বলেন, দোকানে আমি ও আমার দু’জন কর্মচারী মালামাল গুছিয়ে রাখছিলাম। মাল গুছানোর পরেই দোকান বন্ধ করবো। হঠাৎ সন্ধ্যায় ৭টা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের দিকে বড় বড় চাপাতি ও রামদা হাতে কয়েকজন দোকানে ঢুকে পড়ে। একজন আমাকে চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে আঘাত করলে আমি পড়ে যাই। তখন আরেকজন রামদা দিয়ে কোপ দেয়ার ভয় দেখিয়ে বলে ক্যাশ খুলে দে। পরে জীবনের ভয়ে ক্যাশ খুলে দিলে আমার দুটি মোবাইল ও নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। অপর ভুক্তভোগী সুজন শেখ পেশায় গাড়িচালক। ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। সুজনের বাবা কহির শেখ বলেন, আমার ছেলে সন্ধ্যার দিকে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা তাকে ধরে। কয়েকজন মিলে রামদা ও চাপাতি দিয়ে পেটায়। কপাল ভালো কোপায়নি।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে আমার ছেলের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পকেটে কতো ছিল সেটা জানি না। তবে মোবাইলের দাম ছিল ১৫ হাজার টাকা। ছেলেটা চাকরি বাঁচাতে আবারো ব্যথা নিয়ে ডিউটিতে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছিনতাইকারী দলটি যখন শেখেরটেক এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে তখন রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই অস্ত্রের মুখে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা শেখেরটেক হয়ে মোহাম্মাদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৩ নম্বর রোড দিয়ে চলে যায়। এলাকা ছাড়ার জন্য তারা দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করে। এগুলোও তাদের আগে থেকে ঠিক করে রাখা ছিল বলে ধারণা স্থানীয়দের। আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের লোন সেকশনের একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় এখনো ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। জড়িতদের আটকের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পাঠকের মতামত
এদের ধরে ক্রস ফায়ারে দেওয়া উচিত
This is not correct answer by the police. Police has to always protect the people from any criminal activities they shouldn't have to wait for some body to file the complain or incidents .......
মনেহয় আমরা আফ্রিকার বসবাস করছি