অনলাইন
চট্টগ্রামে মসজিদ থেকে বের করে প্রবাসী বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(১১ মাস আগে) ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ৯:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামের রাউজানে জুমার নামাজ পড়তে এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে মারা গেছেন মোহাম্মদ মুছা নামের এক প্রবাসী বিএনপি নেতা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ মুছা (৪৫) স্থানীয় মৃত কবির আহমদের পুত্র। দুই সন্তানের জনক মুছা ওমান ওয়াইলজা শাখা বিএনপির সহ সভাপতি ছিলেন।
মুসা রাউজান বিএনপির রাজনীতিতে গিয়াস কাদের চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচিত। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় ছাড়ার পর তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে চলে যান। এরপর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভয়ে তিনি আর এলাকায় আসেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মুছা অনেকটা গোপনে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়িতে আসেন। শুক্রবার দুপুরে বাড়ির মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে দেখে ফেলেন। মুছা নামাজ পড়ে বের হতেই এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক তার ওপর হামলা করে এবং বেধড়ক পিটুনি দেয়। পিটুনি খেয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুছার ভাই তৌফিকুল মানবজমিনকে বলেন, ‘আমার ভাই গিয়াস কাদেরের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। বিএনপি সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পরই তিনি ওমানে চলে যান। এরমধ্যে কয়েকবার দেশে আসলেও এলাকায় আসেননি। হাটহাজারীর শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। এক মাস আগেই তিনি দেশে এসেছেন। আগামী ৫ তারিখ তার আবার ওমানে চলে যাওয়ার কথা ছিলো। ’কিন্তু এই নষ্ট রাজনীতি তাকে বাঁচতে দিলো না।'
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমি আমার ভাইকে নিয়ে এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান ইকবালের সঙ্গে তার শহরের অফিসে দেখা করেছিলাম। তাকে আমার ভাই বলেছিলেন, তিনি আজকে বাবার কবর জিয়ারত করতে এলাকায় যাবেন। তাকে যেন তিনি প্রটেকশন দেন। তিনি আমার ভাইকে কথাও দিয়েছিলেন। আর এখন শুনলাম উনার নেতৃত্বে আজকে জুমার নামাজের পরই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে উনি (শাহজাহান ইকবাল) এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কি-না সেটা আমি নিশ্চিত নই।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন মানবজমিনকে বলেন, মুছা গিয়াস ভাইয়ের রাজনীতি করতেন। বিগত ১৭ বছর যাবৎ তিনি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকাছাড়া। তিনি দেশে আসলেও এলাকায় যেতে পারতেন না।দীর্ঘদিন পর গতকাল বাড়িতে গিয়েছেন। আর গিয়েই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বর্বরতার শিকার হয়েছেন। আর এখন হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
যদিও রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) জাহেদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, মুছা নামের বিএনপির এই কর্মী মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল আজকে। সেখানে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
আমি বিএনপিকে পছন্দ করিনা কিন্তু এই ধরনের হত্যাকান্ড কোনভাবে মেনে যায়না আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মগের মুলুকে কি এমন অত্যাচার ছিলো? দেশটা কোন নরকে চলে গেলো।
Allah er bichar duniate jene jete chai.
If awamileage or police killed you. Police will report he died from heart attack. This is the true situation now Bangladesh.
আওয়ামীলীগের বিচার করা হবে একদিন ইনশাআল্লাহ
এই দেশ নিরাপদ নয় আর। ১৯৭১ সালেও বোধ হয় এরকম ভয়ংকর অবস্থা ছিল না।
এইখানে বিশিষ্ট মন্তব্যকারী জনাব Kazi সাহেবের কোনো মন্তব্য দেখতে পেলাম না যে? এমন একটা খবরে জাতি তো তার মূল্যবান আওয়ামী মতামতের অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছে।
দেশে আইনের শাসন বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। দিন দুপুরে প্রকাশ্যে মানুষ পিটিয়ে হত্যা কোন সভা সমাজে চলতে পারে না।
ওদের বাবা রেন্ডিয়ারা যখন সিমান্তে পাখির মত গুলি করে মানুষ মারে তখন কুথাই থাকে BAl রা?
বাংলাদেশের জনগণ একটা সময় এদের বিচার করবে। এখন তো আর বিচার হবে না, যেখানে পুরো বিচারব্যবস্থা দলিয়করন করা হয়েছে।
এই রাজনীতি ও রাজনীতিবীদের উপর আল্লাহর লানত যারা নিরিহ মানুষকে হত্যা করে।
ছোট বেলায় পুলিশ নাম শুনলেই মানুষ ভয়ে দৌড়াইত এখন আওয়ামিলীগ নাম শুনলেই মানুষ দৌড়ায় আর বলে ভাগ ভাগ খুনি চোর ডাকাতরা আসতেছে । আল্লহ তুমি এই কুলাঙ্গারদেরকে হেদায়েত কর।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) বলেন, হার্ট অ্যাটাক ?
এরা আবু জাহেলের বংশধর মনে হয় .
এরা নরপশু। এদেরকে আর মানুষ বলা যায় না। বাংলাদেশে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করা এদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এগুলোর খেসারত একদিন বাংলার জমিনে দিতেই হবে।
there will be justice one day!
আওয়ামীলিগের উচিত এসব দলকানা লোকগুলোকে বাছাই করে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিস্কার করা আর প্রবাসী ভাইকে যারা হত্যা করল তাদের কে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা এতে করে দলের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে। একই সাথে এলাকার লোকদের উচিত ঐক্যদ্ধ হয়ে এ রকম নোংরা জঘন্য মানষিকতার লোকগুলোকে এড়িয়ে চলা ।
জাহিলিয়াতের যুগে এসে গেলাম কি না সন্দেহ হয়,, আবু জাহেলের বংশধর মনে হয় এরা।
এদেশে এটা আর নতুন কি ?
এই দল যারা করে তাদেরকে দেখতে মানুষের মত মনে হলেও তারা আসলে মানুষ নয় হায়েনা ।
এখন আওয়ামী লীগ নামক শব্দটি দুই ভাগে বিভক্ত, এক ভাগের শুধু আনন্দ আর আনন্দ, আনন্দ রাখার যায়গা নেই আর অন্য দিকে শতকরা আশি পারছেন লোকের শুধু ঘৃণা আর এরই নাম আওয়ামী লীগ।
ওসি সাহেব মনে হয় মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন, তা নাহলে কেনো তিনি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়াই হার্ট এ্যটাকের কথা বললেন !!!
ওসিসাব একইসাথে মৃত্যুর আসল কারন (
নির্বাচন নাই,আন্দোলন নাই এই সময় পিটিয়ে হত্যা করা খুব জগন্য অপরাধ করেছে। তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।
কিছুই হবে না কারণ বিষয়টা রাজনীতি। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎটা কি কেও বলবেন?
This is a league nation. No one should have any illusion about it. It is just a precursor, wait for the full show.
খালি একপক্ষীয় কথা বললে কি আসল ঘটনা জানা যায়? সে কেন বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিল তা আগে খোজ করেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সে কতজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের খুন করেছে তার খবর নেন।
আমরাএই নষ্ট রাজনিতি চাইনা যে রাজনিতি কারণে মানুষ মারা যেতে পারে। আমরা চাই দেশের সবাই মিলেমিশে কাজ করে দেশকে উন্নত করে
মনে হচ্ছে আওয়ামীলীগ এবার পৃথিবীর সকল বর্বরতাকে হার মানাবে।
যেখানে বসে প্রতিটা মুসলিম মহান স্রষ্টার অনুকম্পার আশায় ধ্যান বা ইবাদতে মশগুল হয়,সেখানে বসে খুনের ছক কষা নিকৃষ্টতর কাজ বলে বিবেচ্য,নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ তাআলা উত্তম বিচারক,শেষ বিচারের দিন উনি নিশ্চয়ই উত্তম ফয়সালা দিবেন।
রাস্তার পাগলা কুকুরের চেয়েও বর্বরতায় অনেক এগিয়ে এই লীগাররা দেশটা তাগো বাপের।
পিটুনি দিয়ে মানুষ মারা সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায়না!!!!!
জালিম এর হাত থেকে মজলুম জননেতা বাচতে পারে নাই।
আওয়ামী গুন্ডা বাহিনীর পক্ষেই মসজিদে মানুষ খুন করা সম্ভব!
Boycott Indian dalal n products
AL has emerged as a deadly monster. They should be stopped now.
এইগুলো কোন মানুষের কাজ এইগুলো তো আবু জাহেলের বংশের কাজ,এই জুলুমের বিচার আল্লাহ পাক এর উপর ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নাই
শুনেছিলাম ৭২-৭৫ সালে একই কায়দায় মানুষের উপর ক্ষমতার অপব্যবহার করা হত । সেই একই রাস্তায় আবার ফিরতেছে মনে হয় ?
দলকানা ওসিতো আগেই সব বলে দিলেন। পিটিয়ে মৃত্যুকে হার্ট এ্যাটাক বানিয়ে দিলেন। আল্লাহ এর উচিৎ বিচার করবেন।