অনলাইন
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণ
জাবি প্রতিনিধি
(৭ মাস আগে) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ৭:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৯ অপরাহ্ন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত যুবক মামুন। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজ মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
জানা যায়, ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত মামুন। তার প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে তাকে নিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের 'এ' ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর তার স্ত্রীকে দিয়ে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। তার প্রেক্ষিতে মামুনের জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী নারী। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন হলের ভিতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর তার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে ওই নারীকে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, 'মামুন ভাই আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি আমার স্বামীর মাধ্যমে ফোন দিয়ে আমাকে তার রেখে যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলেন। আমি তার জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। তখন তিনি আমাদের বাসায় থাকবেন না বলে জানান। এছাড়া তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের মোস্তাফিজ ভাইয়ের কাছে থাকবেন বলেও জানান।'
'এরপর মামুন আমার কাছ থেকে তার জিনিসপত্রগুলো নিয়ে হলে রেখে আসে। পরে আমার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে আমাকে হলের সামনে থেকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যান। তার সঙ্গে মোস্তাফিজ ভাইও ছিলেন। তখন তারা আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।' যোগ করেন ওই নারী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণে তাকে মারধর করেছি, ঘটনা এতটুকুই। পরে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম বলেন, 'ঘটনা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, 'মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ আমাদের কাছে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা চাইলে, আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। হলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, আমরা শাস্তির ব্যবস্থা করবো।'
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আব্দুর রাসিক বলেন, 'ভুক্তভোগী থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনা জানিয়েছেন। আমরা প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
একে কি মানুষ বলা যায়? কুকুর বিড়াল বাঘ ভালুক শিয়াল শুকর শকুন সব একাকার। কিন্তু মানুষ ভিন্ন প্রজাতির, বিবেক দেয়া হয়েছে, এরা মানুষ তো নয়ই, পশুরও অধম, মরা লাশ। ওয়াক থুএর উপর বেঁচে তারপরও দম ছাড়ছে। কি লজ্জা! মনুষ্য সমাজে মুখ দেখায় কেমনে?
No coment
১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগ নেতা জসিমউদদীন মানিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করে।
এদেরকে তো ''সোঁনার ছেলে'' উপাধী দিয়ে রেখেছেন আমাদের মাননীয়। সেটা তোঁ সবারই মনে আছে। এরা যেহেতু জোর করে ১৫ বছর ক্ষমতায়, ধর্ষণ তাদের অধিকার।
খবর এসেছে 'জাহাঙ্গীরনগরে ছয় শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত, তিনজনই ছাত্রলীগের নেতা"। আসলে ৬ জনই চেতনালীগ। যখন চারদিক ঠান্ডা হয়ে আসবে, এরা ঠিক সনদ পেয়ে যাবে। সোনার ছেলেরা তারপর পাচার করা টাকা নিয়ে বিদেশে বিলাসী জীবন পার করবে।
তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর এদের প্রকাশ্যে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক প্রকাশ্যে এদের পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়া হোক।
মগের মুল্লুক পাইছে নাকি? যা কিছু তাই করবে। এর বিচার করতেই হবে।
১৯৯৯ সালের দিকে পত্রিকায় খবর এসেছিলো জাবির সোনার ছেলে মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছিলো আর তার চ্যালারা সেজন্যে আনন্দ মিছিল করে উদযাপন করেছিলো। সেঞ্চুরিয়ান মানিকের মতো হয়তো পুরষ্কার-স্বরূপ তাকেও বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এটা নতুন কিছু না তাদের কাছে এগুলো হচ্ছে ডাল-ভাত
কিছু বলতে চাই না।
আসুন সবাই মিলে স্লোগান তুলি এদের নপুংশক করে দেয়া হোক।
"লীলালীগ" আমরা অবাক হইনি? কারণ ছাত্রলীগ অতীতে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে----সেঞ্চুরি করেছে!
এখানে তাদের সেন্চুরি করার অভিগ্গতা আছে, তারা জানে এসমস্তে কিছু হয় না
কুকুরের কাজ কুকুরেরা করছে, করবেই । এটাই ওদের অধিকার- অহঙ্কার !
যারা যারা এই ঘটনায় অবাক হয়েছে বুজতে হবে তারা এইমাত্র মঙ্গোল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছে।
স্থান,কাল এবং পাএ এই তিনে ওটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা ।
Shame Shame Shame............
তিনি ছাত্রলীগ নেতা। আপনারা অবাক হচ্ছেন?
ভাইরে এরা সোনার টুকরা ছেলে
Capital punishment is only solution.
ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
এইসব কুলাঙ্গারদের থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করার সুযোগ আছে?
জাব