ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

গোপালপুর প্রধান সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যানজটে নাকাল পৌরবাসী

এবিএম আতিকুর রহমান, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) থেকে
২৭ জুন ২০২২, সোমবার
mzamin

টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরের প্রধান সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখায় যানজটে নাকাল পৌর বাসিন্দারা। নানা অজুহাতে স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবহন মালিকরা দেড় শতাধিক বাস রেখে সড়কটিতে গড়ে তুলেছেন অঘোষিত বাসস্ট্যান্ড। যানজটে সড়কটিতে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বাস পার্কিংয়ের কারণে। সড়কের অর্ধেক বাসের দখলে থাকায় বাকি অর্ধেক দিয়ে যান চলাচল করায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এতে অকালে প্রাণ হারানোসহ পঙ্গুত্ববরণ করছেন যাত্রী ও পথচারীরা। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ ও দোকানের সামনেই গড়ে উঠেছে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। গোপালপুরে কোনো প্রকার বাইপাস সড়ক, বাস টার্মিনাল ও ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় এই সড়কটির যানজট এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এ নিয়ে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। শুধু মৌখিক আশ্বাস ও প্রকল্পতেই সীমাবদ্ধ। স্কুল শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, প্রতিদিন শহরে যানজটের কারণে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন
ছুটির পরে বাসায় পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে তাদের। অনেক শিক্ষার্থী রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্কুল গেটের সামনে অটোরিকশা স্ট্যান্ড থাকায় সারাক্ষণ কোলাহল লেগেই থাকে। ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।’ মানবাধিকারকর্মী আজমল খান বলেন, ‘যানজটের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ। মনে হয়, এটি বাস, ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের শহর। দুর্ঘটনা এখানে স্বাভাবিক চিত্র। ঝুঁকি নিয়েই আসা-যাওয়া করতে হয়। কয়েক বছরের ব্যবধানে এ সড়কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পথচারী নিহত হয়েছেন।’ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘পরিবহন মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। নাগরিক ভোগান্তি ঘটিয়ে সড়ক জবরদখল করে মাসের পর মাস পরিবহন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সদরে কোনো বাস ও ট্রাক স্ট্যান্ড নেই। মালিকরা শত শত বাস-ট্রাক শহরের প্রধান সড়কের নন্দনপুর মোড় থেকে সমেশপুর পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে রেখে দেন। অনেক সময় সড়কের পাশে রেখেই বাসে যাত্রী ওঠা-নামা করানো হয়। ব্যস্ত সড়কের বড় অংশজুড়ে বাস ও ট্রাক রাখায় শুধু যানজটই হয় না, ঘটে দুর্ঘটনাও। শহরের বাইরে একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। বাস মালিক সমিতির সভাপতি রহমাতুল কিবরিয়া বেলাল বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে সরকারি বাস টার্মিনাল নেই। সরকার নতুন কোনো বাস টার্মিনাল নির্মাণ না করে দেয়া পর্যন্ত সড়কেই বাস রাখতে হয়। এদিকে নানা জটিলতায় বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ এর আগে ফেরত গেছে। পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা বলেন, পৌর শহরের নন্দনপুর মোড় থেকে বৈরাণ নদী ক্রস করে ভুয়ারপাড়া এবং মধুপুর ভট্ট থেকে সূতি পর্যন্ত দু’টি বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই যানজট নিরসন করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির জানান, ‘জনদুর্ভোগ কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। একটি বাইপাস রোড ও নতুন বাসস্ট্যান্ড করার চেষ্টা হচ্ছে। বাস টার্মিনাল নির্মাণে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

সিন্ডিকেট চক্রের ঈদ বাণিজ্য/ ট্রেনের ১০৫৩ টাকার এসি চেয়ার ২৫০০

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status