দেশ বিদেশ
প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে গলা কেটে খুন
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবারময়মনসিংহের গফরগাঁও পাগলা থানার গয়েশপুর বাজারে বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ (৫৫)কে প্রকাশ্য দিবালোকে গলা কেটে, কুপিয়ে খুন করেছে রুবেল নামে কুখ্যাত এক সন্ত্রাসী। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়ন শাখা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ পেশায় হোমিও চিকিৎসক। গয়েশপুর বাজারে ‘ফিরোজা হোমিও হল’ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
নিহতের স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত হারুন অর রশিদের ছোটভাই তৎকালীন পাইথল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামরুল মেম্বারকে ২০১৩ সালে ঘাতক রুবেল গয়েশপুর বাজারে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল নিহত বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ। দুপুর ১২টার দিকে নিহত হারুন ডাক্তার তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে কাওরাঈদ-গয়েশপুর ফুটব্রিজের নিচে কামালের চা স্টলে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় বড় একটি রামদা নিয়ে ঘাতক রুবেল অকর্কিত তার উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে হারুন ডাক্তার ১০০ গজ দূরে তার বাসার দিকে দৌড় দেয়। দৌড়ে ৫০ গজ দূরে সনি সিনেমা হলের সামনে গিয়ে পড়ে যায় হারুন ডাক্তার। ওই সময়ে রামদা দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে, গলা কেটে হারুন ডাক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত করে গয়েশপুর বাজারে অবস্থিত তার বাসায় চলে যায় ঘাতক রুবেল। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে। আত্মরক্ষার্থে রুবেল তার নিজ বাড়িতে আগুন দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দেয়। রুবেলের মা বিউটি আক্তার রুবেলকে বাঁচাতে এলে বিউটি আক্তারও গণপিটুনির শিকার হন। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পাগলা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। নিহত হারুন অর রশিদের ভাই কামরুল মেম্বার বলেন, বখাটে নেশাগ্রস্ত রুবেল মাদক কারবারি ও কুখ্যাত ডাকাত। অনেক নারীকে সে ধর্ষণ করেছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে সে প্রকাশ্যে খুন করেছে। আমাকেও খুন করতে চেয়েছিল।
এ ব্যাপারে পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়মনাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
পাঠকের মতামত
এটা এক প্রকার পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলা চলে। আওয়ামী দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি এগুলো। এ জাতি কবে এই নিষ্ঠুর পাষাণদের হাত থেকে রক্ষা পাবে?????
এটা সন্তাসি কর্মকাণ্ড না?
এই রকম একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী/ডাকাত কীভাবে দিবালোকে ঘুরে বেড়ায়, অপকর্ম করে, মানুষ হত্যা করে।
রুবেলের কিছুই হবে না। কারণ, এদেশের সকল সাধারণ অপরাধীরা এমন কিছু করে, একটা political shelter পায়। তারপর most wanted তালিকাভুক্ত হয়। রুবেল ও সেই উদ্দেশ্যে ঠাণ্ডা মাথায় এই কাজটি করেছে বলে সাধারণ জনগণের ধারণা। সাংবাদিক ভাইরা যদি রুবেল কে একটু ফলো আপে রাখেন, খুব ভাল হয়।