ঢাকা, ১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

আমেরিকায় বাসার ভিতরে সপরিবারে আত্মঘাতী ভারতীয় পরিবার!

মানবজমিন ডিজিটাল

(৪ মাস আগে) ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার, ১:৫৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

এক ধনী ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি এবং তাদের কিশোরী কন্যার মৃতদেহ তাদের বিলাসবহুল প্রাসাদে পাওয়া গেছে। প্রাসাদটি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের সবচেয়ে বিত্তশালী এলাকায় অবস্থিত। নরফোক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি (ডিএ) মাইকেল মরিসি জানিয়েছেন, ৫৭ বছর বয়সী রাকেশ কামাল, তার স্ত্রী টিনা (৫৪) এবং তাদের ১৮ বছর বয়সী মেয়ে আরিয়ানাকে ম্যানশনের ভিতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে স্ত্রী টিনা ও মেয়ে আরিয়ানাকে নিয়ে ম্যাসাচুসেটসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ রাকেশ কামাল। তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। স্ত্রী টিনা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে চলে যান হার্ভার্ডে। সেখানকার বিশ্ববিদ্যায়ের কৃতী ছাত্রী ছিলেন। তাই স্বামী-স্ত্রী মিলে প্রযুক্তি সংস্থা গড়ে তোলেন। এর নাম দেন এডুনোভা। মূলত পড়াশোনা সংক্রান্ত কাজ করত এই সংস্থা।

বিজ্ঞাপন
ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠতেই ম্যাসাচুসেটসে ৪০ লাখ ডলার দিয়ে বিশাল বাংলো কেনেন তারা।  প্রাথমিকভাবে কোম্পানি ভাল পারফরম্যান্স করছিল। এই বাংলোটি আসলে ১৯০০০ বর্গফুটের একটি এস্টেট। সেখানে আছে ১১ টি বেডরুম। কিন্তু ২০২১ সালে তাদের ওই সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে নিজেদের বিশাল বাংলো কম দামে বিক্রি করে দেন। তা ৩০ লাখ ডলারে কিনে নেয় ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক উইলসনডেল অ্যাসোসিয়েটস এলএলসি। তারা যখন এটি কিনেছিলেন, তখন এস্টেটটির মূল্য ছিল ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার । তাতেও সংস্থাকে উদ্ধার করা যায়নি। এদিকে মেয়ের পড়াশোনা চালানোও কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো তাদের পক্ষে। ১৮ বছরে পা দেওয়া আরিয়ানা দামি বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। বছরে তার খরচ প্রায় ৬৫ হাজার ডলার।  ফলে ক্রমশ হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তারা।নিজেদের বাড়িতেই তিনজন আত্মঘাতী হন। রাকেশ কামালের দেহের পাশে বন্দুক  উদ্ধার করেছে নরফোক পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, বন্দুকের গুলিতেই আত্মহত্যা করেছেন রাকেশ, টিনা, আরিয়ানা।  কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, প্রাথমিক তদন্তে বাইরের থেকে হামলা বা অন্য কোনো পক্ষের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। তাই ‘ঘরোয়া সহিংসতার মারাত্মক ঘটনা’ হিসাবে এই হত্যাকাণ্ডকে বর্ণনা করেছে পুলিশ।  

সূত্র : wionews
 

পাঠকের মতামত

অত্যন্ত বেদনা দায়ক সংবাদ। তাই তো মানুষ কে বলি, ভাবিয়া করিও কাজ, করে ভাবিও না। চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তন, নিয়ন্ত্রণ করার মানসিকতা থাকা উচিত। যে কোন পরিবেশে খাপখাওয়াতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ভাগ্যকে মেনে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, এটা আসল জীবন নয়। পরকালই চিরকাল।

Ekramul kobir
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৫:১৫ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status