দেবিদ্বারে মাদকসেবীদের মারধরে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে দুই মাদকসেবীর মারধরে আজিজুল হক হৃদয় নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। আজিজুল হক হৃদয় ইউসুফপুর ইউনিয়নের মোগসাইর গ্রামের জুনাব আলী মুন্সী বাড়ির অটোরিকশা চালক লিটন মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় মোগসাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। পুলিশ গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।  ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোগসাইর গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, গত বুধবার বিকালে আমি পাশের একটি বাঁশঝাড়ে কাজ করছিলাম। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা কমল কৃষ্ণ দাস ও ইদ্রিস মিয়া আসেন। এর একটু পর আজিজুল হক এসে ওই দুইজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মসজিদে আজান দিছে তোমরা নামাজে যাও না কেন।’ এ কথা বলার পর কমল কৃষ্ণ দাস আজিজুলকে গালিগালাজ শুরু করে। পরে আজিজুল উত্তেজিত হয়ে পাশ থেকে বেত নিয়ে কমল কৃষ্ণের হাতে আঘাত করলে কমল কৃষ্ণ দাস ও ইদ্রিস মিয়া আজিজুলকে এলোপাতাড়ি বুকে পেটে কিলঘুষি মারতে থাকে। এতে আজিজুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

তাকে আমিসহ কয়েকজন মাথায় পানি দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেই।  আজিজুলের বাবা মো. লিটন বলেন, আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলেছে, আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। আজিজুলের চাচা সেনা সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন জানান, আজিজুলকে মারধরের পর তার প্রচণ্ড বমি হয়। তাকে ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তাতেও কমছিলো না, পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে আজিজুল মারা যায়। যারা আজিজুলকে হত্যা করেছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, লাশটি হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। চিকিৎসক মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি। এরপরও স্বজনরা যেহেতু হত্যার অভিযোগ করেছেন, আমরা গতকাল দুপুরে লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।