বিশ্বজমিন
তীব্র সমালোচনার পর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার কয়লাভিত্তিক ২ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করবে না জাপান
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ মাস আগে) ২৩ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৫৩ অপরাহ্ন

দূষণকারী জ্বালানি সরবরাহ দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনার পর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ায় দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রে অর্থায়ন করবে না জাপান। বুধবার জাপান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয়, এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে তারা আর ঋণ দেবে না। গত জুনে জি সেভেন-এর বৈঠকে সরকারগুলো ২০২১ সালের শেষ নাগাদ কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে নতুন করে সমর্থন দেয়া বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ‘চলমান প্রক্রিয়া’র কথা বলে বাংলাদেশের মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে এবং ইন্দোনেশিয়ার ইন্দ্রামায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহায়তা অব্যাহত রাখে তারা।
কয়লাকে অপ্রতিরোধ্য মনে করা হয়, যখন এ থেকে কার্বন নিঃসরণকে ধারণ করার প্রযুক্তি ছাড়াই পুড়িয়ে বিদ্যুৎ বা তাপ উৎপাদন করা হয়। বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ শক্তির জন্য এই প্রক্রিয়াটি এখন আর ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় না। ফলে কয়লার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার জবাবে জাপান তার নীতি পরিবর্তন করেছে। কারণ, কয়লা হলো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমণকারী পদার্থের অন্যতম। এর ব্যবহার বন্ধ দেখার জন্য পরিবেশবাদী কর্মী ও বিনিয়োগকারীরা উদগ্রীব।
জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের প্রেস সেক্রেটারি হিকারিকো উনো সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি বলেছেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা ও বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শের প্রেক্ষাপটে মাতারবাড়ি প্রকল্পে আমরা আর অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইন্দোনেশিয়ার ইন্দ্রামায়ু প্রকল্প নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বলে মিডিয়াকে বুধবার জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেছেন, এটা পুরনো খবর। আমরা এরই মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে এসেছি। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বাতিল করেছি।