বিশ্বজমিন
অন্তত ২ বছর পিছিয়েছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি: পেন্টাগন
মানবজমিন ডেস্ক
(৭ ঘন্টা আগে) ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:৪৫ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচী অন্তত দুই বছর পিছিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন। এতে ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল। বুধবার পেন্টাগনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান তিনি। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পেন্টাগনের এমন দাবি ইঙ্গিত দেয় যে মার্কিন সামরিক অভিযান সম্ভবত তার লক্ষ্য অর্জন করেছে। যদিও হামলার পরপরই জনসমক্ষে কিছু গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস হয়ে যায়, যেখানে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি থেকে কয়েক মাস পিছিয়েছে মাত্র।
পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, সরকারের অনুমাণ হচ্ছে অন্তত দুই বছরের জন্য পিছিয়ে গেছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। যদিও এই দাবির পেছনে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উল্লেখ করতে পারেননি পার্নেল।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের মধ্যে ২২ জুন তেহরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ৩০ হাজার পাউন্ড (১৩ হাজার ৬০০ কেজি) ওজনের বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করে ইরানের ভুগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালায় দেশটির বিমানবাহিনী। এছাড়া ওই হামলায় দুই ডজনের বেশি টমাহক নামের শক্তিশালী ক্রুস মিসাইল ব্যবহার করা হয়। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন তাদের হামলা সফল হয়েছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে দাবি করে অপারেশন মিডনাইট হ্যামার নামক ওই অভিযানে অংশ নেয়া সদস্যদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
তবে তেহরান এখন পর্যন্ত সরাসরি জানায়নি কতটা ক্ষতি হয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অবশ্য বলেছেন, হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ট্রাম্প অতিরঞ্জিত করেছেন। তবে কিছু ইরানি কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হামলায় পরমাণু স্থাপনায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। এদিকে হামলার প্রকৃত পরিণতি এখনো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কারণ, ইরানের গোপন ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলোর ক্ষতি উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে পুরোপুরি বোঝা যায় না। বিশেষ করে ফর্দো নামে পরিচিত বৃহত্তম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে কী ঘটেছে, তা এখনও অজানা। ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন হামলার বিষয়টি আগে থেকেই টের পেয়েছিলেন ইরানের কর্মকর্তারা। তাই সেখান থেকে ইউরেনিয়াম ভর্তি সেন্ট্রিফিউজগুলো অজ্ঞাত কোনো স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছে এমন দৃশ্য।