অর্থ-বাণিজ্য
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৫:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৫ অপরাহ্ন

“রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার” এই মূলমন্ত্র স্মরণে রেখে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় (২০২২-২০২৩) ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দেশের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতা, ভেদাভেদা ভুলে দেশের অর্থনীতিকে সামনের পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সামনের পথে এগিয়ে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ খুবই জরুরি। এ সময়, দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অসহিষ্ণু কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে মন্তব্য করে মাহবুবুল আলম বলেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও নীতিমালা ক্রমশ আধুনিকায়ন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু যেমন ক্রস বর্ডার ট্রেড ও কানেক্টিভিটি, বিনিয়োগ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের সুপারিশ প্রণয়ন, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা, অবকাঠামো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সাপোর্ট, এনার্জি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বেসরকারি খাতের অবস্থান মতামত এবং সুপারিশমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একাত্ম হয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে একটি স্মার্ট এফবিসিসিআই গড়ার ম্যানিফেস্টো নিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এফবিসিসিআই নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের অবহিত করার জন্য প্রতি মাসে ই-বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি গতিশীল, ব্যবহার-বান্ধব এবং ইন্টারেক্টিভ এফবিসিসিআই গঠনে ডিজিটাল ওয়েবসাইট প্রবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এফবিসিসিআই এর কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য স্মার্ট অফিস তৈরির লক্ষ্যে গুলশানে এফবিসিসিআইর অফিস সম্প্রসারিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এসময় পুরান ঢাকায় নতুন শাখা অফিস খোলা ও উত্তরায় একটি ভকেশনাল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, গুলশানে এফবিসিসিআই’র এক্সটেন্ডেড অফিস চালু, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন, পুরুষ জামানতকারী ছাড়াই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা কিস্তি প্রাপ্তি, আয়কর জমা দেয়ার সময়সীমা ২ মাস বাড়ানোসহ পলিসি এডভোকেসির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতের সুরক্ষায় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকার কথা সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন মাহবুবুল আলম।
গত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, এফবিসিসিআই’র বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, এফবিসিসিআই’র আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক দেয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়া হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় আগত সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন। এফবিসিসিআই সভাপতি গভীর মনোযোগ সহকারে তাদের বক্তব্য শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা তাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, পরিচালক বৃন্দ এবং এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
সুবিধাবাদী
"রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার"- কথাটি বলবার পূর্বে প্রমাণ করতে হবে- বাংলাদেশে সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ আছে কিনা ! একটি দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ একটি শক্ত অর্থনীতির ভিত্তি রচিত হয়। এ সরকারের আমলেই কোটি কোটি ডলার লুটপাট হয়ে যখন বিদেশে তা পাচার হয় এবং তার কোন জবাবদিহিতা থাকেনা- সেখানে অর্থনীতির সুস্থ পরিবেশ থাকেনা। সরকার নিজেই দেশে সঠিক রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট করেছে বলেই- আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির এই নাজুক ও ভঙ্গুর অবস্থা। সঠিক রাজনীতির পরিবেশই একটি দেশের নির্ভরযোগ্য অর্থনীতির ভিত নির্মাণ করে।
কদিন আগে তো ব্যবসায়ীরা বর্তমান সরকারকে চায় বলছিলো।
এইসব ভাঁওতাবাজি স্লোগান বাদ দিয়ে আপনাদের শেখ হাসিনাকে বলেন নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তাহলে সবাই একজোট হয়েই সমস্যার মোকাবেলা করা যাবে
রাজনীতি , অর্থনীতি সব আওয়ামী লীগ সরকারের,বাকি সব জনগনের
'ক্ষমতা কারো কারো, ভোগান্তি সবার' শ্লোগানটা বাস্তবতার সাথে মিলে না ? গান গাইলেন দলের আর হাতে তালি চাইলেন সবার ? একরাতে একশত ভাগ দাম বাড়ানোর নাম সবার জন্য অর্থনীতি ?
অর্থনীতি যার রাজনীতিও তার আবার রাজনীতি যার অর্থনীতিও তার।আপনারা রাজনৈতিক পাওয়ার খাটিয়ে দেশের অর্থনীতি রাজকোষ লুটপাট করে দেশের বাহিরে পাচার করবেন আর দেশের সাধারণ জনগণ না খেয়ে মরবে বা না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে থাকবে নাকি?চুরের দল
আমি গতকাল সন্ধ্যায় 95 টাকায় পিয়াজ কিনেছি আজকে বিকালে একইস্থানে থেকে জানতে পারলাম 250কেজি, এটাই ব্যবসায়ীদের নীতি?
আমরা গরীব বুঝেগেছি অর্থনীতি যার রাজনীতি তার গণতান্ত্রিক রাজনীতি থাকলে অর্থনীতি সবার উপকারে আসে বর্তমান স্বৈরশাসক যত টাকা পাচার করেছে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের সম্ভবনা থাকলে আজকের পরিস্থিতিতে দাঁড়াতে হতোনা, অতএব রাজনীতি নির্বাসনে আমরা কেন অর্থনীতি নিয়ে কেন চিন্তা করব? আমার পন্যমুল্যের গতি উর্দ্ধ কেন?
এদের মতো লোভী দূর্নীতিবাজ সংগঠন গুলোর কারণে সাধারণ জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। দ্রব্য মূল্য আমদানি করার আগেই দাম বৃদ্ধি করে। সকালে পেঁয়াজ একশো টাকা রাতে দুইশো টাকা হয় কিভাবে? সব কিছুর জন্য দায়ী এই জানোয়ার গুলো। দেশের জনগণের টাকা লুট করে নিয়ে বিদেশে বাড়ি কিনে। এখন কেন অর্থনীতি সবার কিছু দিন আগে শেখ হাসিনা কে সমর্থন জানিয়েছে। এখন যখন দেখছে সামনে দুর্ভিক্ষ আসছে তখন ভোল পাল্টে সাধু হচ্ছে। ওরাই দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করে দ্রব্যমূল্যোর দাম বৃদ্ধি করছে। সময় আসুক হিসাব নেওয়া হবে।
তাহলে সরকার বিরোধী যারা আছেন তারা এখন রাজনীতি করা ছেড়ে দিতে বলছেন? শুধু আপনারা কয়েকজনই যা ইচ্ছে তা করবেন? সব অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজেদেরকে বিশ্ব থেকে যখন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছেন তখন ঐক্যমতের কথা মনে পড়ছে? এখন বুঝি গায়ে লাগছে? হায়রে মতলববাজ!"
ভোটাধিকারের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে সুশাসন টেকসই হয়। দেশে সুশসন থাকলে দেশের প্রতিটা অংগ সচল থাকে ও অপ্রতিরোদ্ধ গতিতে এগিয়ে চলে। তাই ব্যবসায়ীদের উচিত ভোটাধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া
আওয়ামী লীগ সরকারকে ব্যবসা বান্ধব সরকার বলে মন্তব্য করেছেন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এক রাতে ১২০ টাকার পেঁয়াজ ২৫০* টাকা কেন ?