অর্থ-বাণিজ্য
রাজধানীতে চলছে নির্মাণসামগ্রীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৮:৪৫ অপরাহ্ন

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণসামগ্রী, নির্মাণ প্রণালী ও সরঞ্জামকেন্দ্রিক ছয়টি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনীগুলো আইসিসিবির ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর হলে চলবে শনিবার পর্যন্ত। এতে গৃহ ও অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের সরঞ্জামাদি এবং পরিষেবা সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজক কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস- সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ'।
শুরু হওয়া ছয়টি প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে নির্মাণসামগ্রী, নির্মাণপ্রণালী এবং সরঞ্জামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সুপ্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ২৮তম বিল্ড বাংলাদেশ-২০২৩ এবং ২২তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো-২০২৩'। ওয়াটার প্রযুক্তি ও সমাধান সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে ৫ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো-২০২৩। বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন ও নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর ২৫তম পাওয়ার বাংলাদেশ-২০২৩ ও ২০তম সোলার বাংলাদেশ-২০২৩, এবং ৫ম ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো-২০২৩।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রেেকৗশলী মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (আরপিই অ্যান্ড ডি) ড. মো. মিজানুর রহমান এবং আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদসহ প্রমুখ।
মেহেরুন এন. ইসলাম বলেন, বহুমাত্রিক শিল্পক্ষেত্র নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীগুলো বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী। একাধারে নির্মাণ ও বিদ্যুৎ শিল্পের অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া প্রদর্শনীগুলো একটি ফলপ্রসূ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি-টু-বি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যের প্রসারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ঢাকা শহরের ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বসুন্ধরা, উত্তরা, মোহাম্মদপুর এবং মিরপুর এসব হচ্ছে পরিকল্পিত এলাকা। মাঝে তেজগাঁও, নাখালপাড়া এবং ইন্দিরা রোডসহ কিছু এলাকা মূলত সমস্যা সৃষ্টি করে। আগে যদি এসব এলাকাকে আবাসিক এলাকা না করে মাঝখান দিয়ে যদি রাস্তাগুলো করে দেয়া যেত তাহলে সমস্যা অনেকটাই কমে যেত। পূর্বাচলে দেশের একটি চমৎকার আবাসিক এলাকা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা আশা করব পরবর্তীতে যে আবাসিক এলাকাগুলো হবে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হবে।
বাসা-বাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প কারখানাগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থার জন্য ওয়াটার পিউরিফায়ার নিয়ে মেলায় এসেছেন এম এইচ টি ফল্টিারেশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইঞ্জি মাইনুদ্দিন বলেন, আমাদের প্রোডাক্ট হচ্ছে মূলত ওয়াটার পিউরিফায়ার। আপনার বাসা-বাড়ি এবং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে এই ওয়াটার পিউরিফিকেশন স্থাপন করে থাকি। আমাদের এই ফল্টিার প্রসেসের মাধ্যমে পানিকে শতভাগ পিউরিফাই করা হয়। যে সকল ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক লোক কাজ করে সেখানে বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন হয়। আর তাদের জন্য বোতলজাত পানি আনা অনেকটা ব্যয় সাপেক্ষ হয়। সেখানে আমাদের ওয়াটার ফল্টিার সিস্টেম খরচ অনেকটা কমিয়ে আনে।