দেশ বিদেশ
সীতাকুণ্ডে অগ্নি দুর্ঘটনায় বার্ন ইউনিটে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫ জন
স্টাফ রিপোর্টার
২২ জুন ২০২২, বুধবারচট্টগ্রামের বিএম ডিপোর কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মোট ২২ জন রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসেছিলেন। এরমধ্যে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫ জন। তারা সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর কন্টেইনার বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আছেন ১৫ জন। মোট ২২ জন রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তারমধ্যে একজন ফায়ার ফাইটার মারা যান। ছয়জনকে গত শনিবার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীন যারা আছেন তারা এখন শঙ্কামুক্ত। তাদের বিভিন্ন অপারেশনের জন্য একটু সময় লাগছে। অপারেশন সম্পূর্ণ হলে আমরা তাদের ছেড়ে দিতে পারবো। তাদের শরীরে বার্নের সঙ্গে চোখে বেশি সমস্যা হয়েছে। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা হলেন- নজরুল (৩৮), আমিন (২২), সজীব (৩০), এস কে মইনুল হক (৪১), রবিন (২২), বদরুজ্জামান রুবেল (১৮), মো. সুমন হাওলাদার (৩৪), খালেদুর রহমান (৫৮), জসিম উদ্দিন (৫০), ইমরুল কায়েস (২২), কামরুল হাসান (৩৩), শরীফ (১৮), রুবেল (২৮), মুহিবুল্লাহ (২৭) ও নুরুল আক্তার (৫০)। তাদের সবার অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। তারা সবাই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে ১২ই জুন ভোর ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী গাউছুল আজম (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। তার শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এবং শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৬ জন রোগীকে ১৮ই জুন ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা দুপুরে ছাড়পত্র হাতে পান। তারা হলেন- মো. ফারুক হোসেন (৪৭), মো. মইনুদ্দিন (৫২), মো. ফারুক (১৬), মো. মাগফারুল ইসলাম (৬৫), মো. মাসুম মিয়া (৫২), মো. ফরমানুল ইসলাম (৫০)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রায় সবারই চোখে সমস্যা। তাদের চোখের বিষয়টি ঢামেকের চিকিৎসকরা দেখছেন এবং যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ছয় জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তাদের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বার্ন ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট ও চক্ষু বিভাগে যোগাযোগের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। বার্ন ইউনিটে ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। রোগীদের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হলে ছাড়পত্র দেয়া হবে।