দেশ বিদেশ
আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে ১২ই ডিসেম্বর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহে সংস্থাটির বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বোর্ডের বৈঠকের সময়সূচি অনুসারে, আগামী ১২ই ডিসেম্বর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইএমএফ নির্ধারিত ৬টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ দু’টি পূরণ করতে পারেনি।
বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে সেগুলো হলো- অনুচ্ছেদ-৪ পরামর্শ ও বর্ধিত ঋণ সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্ব সুবিধার পর্যালোচনা।
গত অক্টোবরে আইএমএফ দল দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করে। এরপর তারা ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে বোর্ডের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আশাবাদী যে, আইএমএফ বোর্ড সভায় দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাবটি অনুমোদিত হবে। তারা আইএমএফকে ঋণের দুটি শর্ত পূরণে বাংলাদেশের অপারগতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব ইতিমধ্যে আইএমএফ বোর্ডে তোলা হয়েছে। ফলে অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ পেতে পারে বলে আশা করেন তিনি। তার মতে, দ্বিতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশ যে ঋণ পাবে, তা দিয়ে কমপক্ষে ১৫ দিনের খরচ চালানো যাবে।
বাংলাদেশ যেসব শর্ত পূরণ করতে পারেনি তার মধ্যে একটি হলো- গত জুন শেষে ন্যূনতম ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখা। জ্বালানি, সার ও খাদ্যপণ্যের দাম পরিশোধে সরকারকে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছিল বলে লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে। বর্তমানে আইএমএফ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৪০ বিলিয়ন ডলারে।
অন্যদিকে ন্যূনতম কর-রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা যায়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমপক্ষে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা কর-রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজন ছিল। অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন বলছে, শেষ পর্যন্ত তিন লাখ ২৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা কম।
এর আগে গত ৩০শে জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। গত ২রা ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বাকিগুলো আরও পাঁচ দফায় পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।