দেশ বিদেশ
বাছাইয়ে ছিটকে গেলেন মেজর (অব.) আখতার, জাপা মহাসচিব চুন্নুর আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবারদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোননয়নপত্র বাছাইয়ে নির্বাচনী দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছেন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন। তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। মামলা ও ব্যাংক ঋণের তথ্য হলফনামায় উল্লেখ না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি’র কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। গতকাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বাছাইয়ে মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জনসহ কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী মোট ৯ জনের মধ্যে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। বাতিল হওয়া অন্য দুইজন হলেন- তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মো. আহসান উল্লাহ ও গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী মো. আশরাফ আলী।
বাকি ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাহার আকন্দ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিন, এনপিপি প্রার্থী আলেয়া, গণফ্রন্ট প্রার্থী মীর তৈয়ব মো. রেজাউল কবির এবং বিএনএফ প্রার্থী মো. বিল্লাল হোসেন। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ এর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় স্থগিত করা হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র জমাদানকারীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অন্য ৩ জনই স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তারা হলেন- ব্যারিস্টার মো. গোলাম কবির ভূঞা, প্রভাষক শামীম আহমদ ও মো. রুবেল মিয়া।
এ আসনে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া নানক, এনপিপি প্রার্থী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) প্রার্থী ওমর ফারুক এবং ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস মেজর (অব.) মো. নাসিমুল হক ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার। এদিন কিশোরগঞ্জ-২ ও কিশোরগঞ্জ-৩ আসনসহ জেলার ৩টি আসনের মোট ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে মোট ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত হয়েছে। মোট ২০ জন বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী ১২ জনের মধ্যে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।
তারা হলেন- ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমদ সাদী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস এর বিকল্প প্রার্থী মো. আবুল কাসেম। বাকি ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি লিপি’র চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. মো. আব্দুল হাই, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক দোলন, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিন, এনপিপি প্রার্থী মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) প্রার্থী মো. আশরাফ উদ্দিন ও বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মোবারক হোসেন।