রাজনীতি
বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপির
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৪:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

একতরফা নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল শেষে ‘৪৮ ঘণ্টার অবরোধ’ কর্মসূচি ডেকেছে বিএনপি। আগামী বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে সর্বাত্মক এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সোমবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
পাঠকের মতামত
মৌলিক অধিকার আদায়ে বিরোধী দলের কর্মসূচির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নামতে হবে জনতাকে। স্বৈরাচার সরকাররের পতন ঘটাতে হলে ঘরে বসে থেকে অধিকার আদায় করা যাবেনা। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হলে দেশ ও জাতি ধ্বংস হবে।
নির্বাচন করতে সকলে চায় সেটা হতে হবে সচ্ছ গ্রহনযোগ্য এই জন্য দরকার একটি নিরাপক্ষ লোক যিনি নির্বাচনকালীন সরকার হবে। ক্ষমতার চেয়ারে বসে সে কখনো নির্বাচনে হারে না কারন সে যেকোন উপায় চেয়ার ধরে রাখবে। চেয়ারের মজাই আলাদা। তাই যত দল নির্বাচনে আসুক তাদের ভোট % কত ভাগ আর যাহারা নির্বাচনে আসেন না তাদের কত ভাগ আছে এটা বিচার করলেই বুঝা যায় অতএব জবরদখল করে চেয়ার ধরে রাখলে এর পরিনাম ভাল জয় না। মহা সংকটে আমরা এবং দেশ এর থেকে বাচার জন্য সকলের অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন। ধন্যবাদ
হরতাল-অবরোধ, অবরোধ-হরতাল। এরপর কী? রাজনৈতিক মিমাংসার লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছেনা। তাহলে কি আরো কঠোর কিছু আসছে? জনমনে শঙ্কা। প্রতিদিন দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দিচ্ছে। একতলা কি দোতলা বাস, টার্গেট করা হয় সবধরনের যানবাহন। এমনকি ট্রেনও। মালবাহী ট্রাকেও আগুনের খবর জানা গেলো। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। এভাবে আর কতদিন। জানা নেই জনগণের। সহিংসতার মধ্যে সুষ্ঠু ভোট নিয়েও শঙ্কা আছে। তবে ২০১৪ সালের মতো মাঠ একদম ফাঁকা না। বড়ো একটা দল মিত্ররা সহ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু, ছোট ছোট বহু দল নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরমধ্যে নতুন দল যেমন আছে, পুরনো দলও আছে। তবুও সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ মানুষ জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করছে। দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দিচ্ছে। এরপর চোরাগোপ্তা হামলা যদি শুরু করে দেয়, এই আশঙ্কা ও ভয় মানুষকে তাড়া করতেই পারে। সোজা কথা, জনজীবনের নিরাপত্তার প্রশ্ন। তাই কেউ কেউ বলছেন আগে জীবন পরে ভোট। এই পরিবেশের মধ্যে কতো পারসেন্ট ভোটার উপস্থিত হবে কেন্দ্রে তা এখনই বলা যায়না। পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে আন্দোলনরত দলগুলো যদি নির্বাচনে আসে তাহলে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। জনজীবনের শঙ্কাও দূর হয়ে যাবে।
এবার একটু শান্তি দিন। হরতাল আর অবরোধ করে কি পেলো বিএনপি। গাড়ি জালিয়ে ককটেল ফাটিয়ে হরতাল , অবরোধ হয় না। যদি দেশের জনগন না আসে।বিএনপির প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা ছিল তা দিনদিন কমে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন
রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]