বিবিধ
বিশুদ্ধ স্পর্শে ত্বকের যত্নে কাজ করছে পার্লিয়া হারবাল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার, ৬:২৪ অপরাহ্ন

আনিকা তাহসিন সাদিয়া। ত্বকের যত্নে আপোষহীন ভাবে কাজ করে যাওয়া একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। হারবাল কসমেটিকস প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ থেকেই ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপাদানে স্কিনকেয়াল প্রোডাক্ট বানানোর অনুপ্রেরণা থেকে কাজ শিখে আকৃতি দেন তার নিজস্ব উদ্যোগ - পার্লিয়া হারবাল।
তিনি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। পেশাগত ভাবে প্রথমে তিনি চাকরিজীবি ছিলেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশের একটি বড় প্রজেক্টের অপারেশন ম্যানেজার এবং স্কিনকেয়ার ট্রেইনার থাকাকালীন সময়েই মূলত তার স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার এর প্রতি কাজ করার আগ্রহ জন্মায়। এবং সেখান থেকেই তিনি হারবাল কসমেটিকস এর উপর আকর্ষণ অনুভব করেন।
সেই আকর্ষণ থেকেই তিনি অনলাইনে বিভিন্ন পেইজ থেকে ঘরে বসে হারবাল কসমেটিকস তৈরির উপর কোর্স করেন। এমনকি নিউ দিল্লীতেও তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে কোর্স করেন যেখানে করোনার কারণে পরীক্ষা দিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। তবে তিনি দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী, খুব শীঘ্রই সেখানে পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল হার্বালিষ্ট খেতাব অর্জন করবেন।
তার ব্যাবসায়ীক উদ্যোগ পার্লিয়া হারবাল ফেইসবুক পেইজের বয়স ৬ বছর হয়ে গেলেও মূলত করোনার সময় থেকেই তার ব্যাবসা ঘুরে দাঁড়ায়। সেই হিসাবে আড়াই বছর ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন সাদিয়া। এবং মানসিক ভাবে প্রচন্ড সাপোর্ট পেয়েছেন তার স্বামীর কাছ থেকে, তাই ব্যাবসার প্রতি আগ্রহের সম্পুর্ণ কৃতিত্ব স্বামীকেই দেন। পার্লিয়া হারবাল আজ এক লক্ষ ফলোয়ার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে, তার এই যাত্রায় বর্তমানে কাজ করছেন ৭ জন সহকর্মী, যারা নিরলস পরিশ্রম করছেন তাদের পণ্যের গুনগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। অত্যন্ত যত্নে ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে চুলের জন্য হারবাল শ্যাম্পু, হারবাল প্যাক, ফেইস এর জন্য হারবাল ফেইসপ্যাক, ফেইসওয়াশ, ক্রীম ইত্যাদি। বর্তমানে ২ হাজারেরও বেশি রেগুলার কাস্টমার রয়েছে পার্লিয়া হার্বাল ফেইসবুকে পেইজের। প্রতিদিন ফেইসবুক লাইভের মাধ্যমে পণ্যের গুনাগুন সম্পর্কে প্রতিনিয়ত অবহিত করে যাচ্ছেন ক্রেতাদের।
সম্পুর্ন ব্যাবসায়ীক আইন মেনে উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সাদিয়া। পার্লিয়া হারবাল ফেইসবুক পেইজটি ছোট হলেও কোনো ক্ষেত্রেই কমতি রাখছেন না তিনি। ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে টিন সার্টিফিকেট, বিন সার্টিফিকেট পর্যন্ত রয়েছে তার যেখানে মাস থেকে ভ্যাট এবং বছর শেষ ট্যাক্স রিটার্ন দেন। এখন ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার এর জন্যও আবেদন করেছেন, আশা করছেন শীঘ্রই পেয়ে যাবেন।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে তার চাওয়া একটাই, কেমিক্যাল কসমেটিকস এর উপর মানুষের অভ্যস্ততা কমিয়ে হারবাল কসমেটিকস নির্ভর করে তোলা। তার বিশ্বাস, নারী চাইলে সবকিছুই করতে পারে। শুধু দরকার ধৈর্য্য এবং ইচ্ছা শক্তি। অনেকেই ব্যবসায় সফল হতে পারেনা, যার কারণ হিসেবে তিনি দায়ী করেন সেই ব্যাবসার উপর সম্পুর্ণ জ্ঞান না থাকাকে। তাই ব্যাক্তিগতভাবে সকলকে উপদেশ দেন, যে যেটা নিয়েই কাজ করুক না কেনো, তার উচিত সেই ক্ষেত্রে সম্পুর্ণ জ্ঞান নিয়ে কাজে নামা।