বিবিধ
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় জাতিসংঘে মানবাধিকারকর্মী
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন এবং বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে তাদের ওপর দমন-পীড়নের কথা জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরেছেন দেশটির খৃস্টান সম্প্রদায়ের এক মানবাধিকারকর্মী। ওই মানবাধিকারকর্মীর নাম জোসেফ জেসন। তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশনে জুবিলি ক্যাম্পেইনের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই অধিবেশনে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে উদ্বেগের তথ্যচিত্র তুলে ধরেন তিনি।
জোসেফ বলেন, পাকিস্তানে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মানবাধিকারকর্মীদের নির্বিচারে আটক করা হয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মঅবমাননা আইনে মামলা ও অভিযুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে জোসেফ বলেন, জুবিলি ক্যাম্পেইন ধর্মঅবমাননার অভিযোগ, বিচারের আগে আটক, অন্যায্য বিচারকাজ, ক্রমাগত হুমকি ও সহিংসতায় উসকানি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের চরমপন্থী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (টিএলপি) সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের উস্কানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
জোসেফ বলেন, জরানওয়ালায় কথিত ধর্মঅবমাননার অজুহাতে খৃস্টানদের বিরুদ্ধে সংগঠিত সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশের ব্যর্থতা এবং সারগোদায় খৃস্টানদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে একাধিক ভিত্তিহীন অভিযোগের ঘটনায় জুবিলি ক্যাম্পেইন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ধর্মঅবমাননার অভিযোগে জরানওয়ালায় খৃস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় খৃস্টান ধর্মের দুই অনুসারীকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অনেক নারী ও শিশুকে নির্বিচারে আটক করে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্র: এএনআই