বিবিধ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পাকিস্তানে ধর্মের নামে নির্বিচারে আটক নিয়ে উদ্বেগ
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

ব্লাসফেমির শিকার এবং মানবাধিকার কর্মীরা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য আইন সংস্কার চেয়ে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশন চলাকালীন বিশিষ্ট মানবাধিকার অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জুবিলি ক্যাম্পেইন আয়োজিত ‘পাকিস্তানে ধর্মের নামে নির্বিচারে আটক‘ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানায়।
পাকিস্তানে নির্বিচারে আটক ও ব্লাসফেমি আইনের সংস্কারে ভুমিকা রাখার জন্য এই অনুষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার জন্য আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপরও তারা গুরুত্বারোপ করেছে।
জুবিলি ক্যাম্পেইনের একজন সম্মানিত এডভোকেসি অফিসার জোসেফ জ্যানসেন, মানবাধিকারের মৌলিক লঙ্ঘন হিসেবে নির্বিচারে আটকের গুরুতর সমস্যাটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বিচারে আটকের শিকার হলে ব্যক্তিরা বাকস্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া সহ তাদের সহজাত অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
জ্যানসেন পাকিস্তানে প্রচলিত প্রথার উপর আলোকপাত করেছেন যেখানে ব্যক্তিদের সুস্পষ্ট অভিযোগ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা একটি ন্যায্য বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়।
তিনি পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনে অন্তর্নিহিত বৈষম্যের স্পষ্ট করে বলেছেন, আইনটি সরকারি ধর্ম ইসলামকে সমর্থন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই আইনগুলি কথিত ক্ষতির চেয়ে বেশি শাস্তি আরোপ করে এবং প্রায়শই পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই অভিযুক্তের কারাদণ্ড হয়। অভিযুক্তদের পরিবারগুলিকে আত্মগোপনে বাধ্য করা হয়। এতে পরিবারগুলোর দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি হয়।
আরো গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) এর মতো চরমপন্থী ধর্মীয়-রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে জড়িত থাকা মুসলমানদেরকে রাজনৈতিক লাভের জন্য ব্লাসফেমির অভিযোগে মিথ্যাভাবে সংখ্যালঘুদের জড়িত করার জন্য প্ররোচিত করা। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি যেমন ১৬ আগস্টে জরানওয়ালায় জনতার আক্রমণ। জ্যানসেন পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রতি বিদ্বেষ, বৈরিতা বা সহিংসতাকে উস্কানি দেয় এমন কোনো প্রচারনা নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।
জুবিলি ক্যাম্পেইন ইউএসএ-এর ডেডিকেটেড এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান বুওয়ালদা, পাকিস্তানে ধর্মীয় কারণে নির্বিচারে আটকের ফলে মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হচ্ছে সেজন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আইনি সহায়তা কার্যক্রম, অবিলম্বে আইনি প্রতিনিধিত্ব এবং বন্দিদের ন্যায্য বিচারের পক্ষে কথা বলেন।
ধর্মীয় কারণে নির্বিচারে আটক করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন যা সমাধানে সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সূত্র: এএনআই