ঢাকা, ৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

এডিসি হারুনকাণ্ড

আরও সাতদিন সময় চায় তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার

শাহবাগ থানা হেফাজতে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি আরও সাতদিন সময় চায়। কমিটির সদস্যরা সময় চেয়ে আবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন। তবে কমিশনার গতকাল তাদের আবেদনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এর আগে দেশজুড়ে আলোচিত এ ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দুইদিনের ভেতরে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কমিটির সদস্যরা আবার ৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। কমিশনার তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে দেন। মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিলের শেষদিন থাকলেও তারা প্রতিবেদন জমা না দিয়ে ফের সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। 
ডিএমপি’র সূত্রগুলো বলছে, সাতদিনে তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে এনেছেন। কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে, হাসপাতাল ও শাহবাগ থানায় কী ঘটেছিল- এসব ঘটনায় এডিসি হারুন অর রশীদ, এনডিসি সানজিদা আফরিন, প্রেসিডেন্টের এপিএস আজিজুল হক মামুন, ছাত্রলীগ নেতা ও শাহবাগ থানা পুলিশের কী ভূমিকা ও কার কী দায় ছিল বিষয়গুলো তদন্তে তুলে এনেছেন। এজন্য তারা ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা, স্টাফ, শাহবাগ থানার কনস্টেবল থেকে ওসি, এডিসি হারুন, সানজিদা ও ছাত্রলীগ নেতাদের পৃথক বক্তব্য নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া এপিএস মামুন  লিখিত বক্তব্য দিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বক্তব্য তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং তিনি নিজেকে ভুক্তভোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া সানজিদার সঙ্গে হারুনের সম্পর্কের বিষয় ও তাকে একাধিকবার সতর্ক করার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সূত্রগুলো বলছে, তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় হারুন, সানজিদা, মামুন, শাহবাগ থানা পুলিশের অনেক সদস্যদের দায় পেয়েছে। বিশেষকরে হারুন তুলে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের অমানবিকভাবে মারধরের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। মারধরে থানার পরিদর্শক থেকে অনেকেই জড়িত ছিল। কেউ মারধরে অংশ নিয়েছে আবার কেউ প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে কোনো ভূমিকা পালন করেনি। প্রেসিডেন্টের এপিএস আজিজুল হক মামুনের ভূমিকা সেখানে কী ছিল সেটি তদন্তে উঠে এসেছে। মামুন সেদিন কেন সেখানে গিয়েছিলেন। আর কেনইবা ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে সেখানে গেলেন। ঘটনার সময় ধারণ করা ভিডিও পর্যালোচনা করেছেন কমিটির সদস্যরা। সেখানে মামুনের নির্দেশে ভিডিও করা হয়। সানজিদার বক্তব্যের মধ্যে মামুনই প্রথম হারুনকে মারধর করেন বিষয়টি উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে মামুনও দায় এড়াতে পারবেন না বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

ডিএমপি’র কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্ত কমিটিকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার ক্ষমতা ও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা ঘটনায় যার যতটুকু দায় আছে সেটি তুলে ধরবেন। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে ডিএমপি কমিশনার বরাবর। পরে সেটি পুলিশ সদর দপ্তর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা হবে। তবে আরেকটি সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারে। দুই কমিটির প্রতিবেদন একসঙ্গে করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। 
ডিএমপি‘র ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির  সভাপতি হিসেবে আছেন ডিসি (অপারেশন) আবু ইউসুফ। এ ছাড়া রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ এবং ডিবি মতিঝিলের রফিকুল ইসলাম সদস্য।
ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে নাই। তারা সাতদিন সময় চেয়ে আবার আবেদন করেছে। তবে কমিশনার বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status