বিবিধ
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় টিটিপির হামলার একটি বিশ্লেষণ
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়ে আলোচনায় খাইবার পাখতুনখাওয়ার (কেপিকে) চিত্রাল জেলা। গত ৬ই সেপ্টেম্বর সীমান্ত অনুপ্রবেশ করে পাকিস্তান বাহিনীর ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে আফগানিস্তানে ফিরে যায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) একটি বড় দল। ওই হামলায় টিটিপির কতজন সদস্য ছিল তার সঠিক পরিমাণ জানা না গেলেও সেই সংখ্যা শ’খানেক ছিল বলে জানা যায়।
কেপিকের রাজধানী পেশোয়ারে এর কয়েক দিন পর পাকিস্তান ফ্রন্টিয়ার কর্পসের বহরকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে এক সেনা সদস্য নিহত ও বেসামারিক লোকজনসহ বেশকয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার দায় টিটিপি স্বীকার করে।
এদিকে, গত ৬ই সেপ্টেম্বরের আক্রমণ পাঁচদিন পর নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ওই অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সক্ষমতা সময়ে সময়ে পরীক্ষা করে চলেছে টিটিপি। জঙ্গি সংগঠনটির সর্বশেষ এই হামলার অবস্থানটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানের উত্তরে প্রত্যন্ত এলাকা হলো চিত্রাল, যেটি অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল এলাকা। ২০১১ সালের পর সেখানে বড় ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম দেখা যায়নি। এই এলাকায় টিটিপির সর্বশেষ হামলা থেকে বোঝা যায়, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন ফ্রন্ট খোলার চেষ্টা করতে পারে জঙ্গিরা।
টিটিপি জঙ্গিরা উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে জনসমাগম ঘটাচ্ছে, তালেবান সরকারকে এমন সতর্ক করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু আফগান তালেবানরা টিটিপিকে প্রতিরোধ করেনি। টিটিপির নিরাপদ আশ্রয়স্থল ধ্বংস করতে আফগান তালেবান সরকারের ক্রমাগত ব্যর্থতা জঙ্গি সংগঠনটিকে পাকিস্তানেও ভবিষ্যতে হামলা চালাতে সক্ষম করবে।
আল-আরাবিয়্যা পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কঠিন পার্বত্য অঞ্চল ও চিত্রালে পাকিস্তানি সামরিক জনবল ও অবকাঠামোর অভাব আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত বাধাগ্রস্ত করবে। টিটিপি আফগানিস্তানে তার চলাফেরার স্বাধীনতা ব্যবহার করে চিত্রালে আক্রমণ করার আগে কুনার প্রদেশের আশ্রয়স্থল থেকে সৈন্য সরিয়ে নুরিস্তান প্রদেশের বারগ-ই মাতালে জড়ো করেছিল।
টিটিপির নেতা বারগ-ই মাতাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেন। চিত্রাল জেলার ওস্তাই নিরাপত্তা চেকপোস্ট ও জানজিরাত কোহ চেকপোস্টে হামলার দায় স্বীকার করে তারা।
গত ৬ই সেপ্টেম্বরের হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি। তার মতে, আফগান তালেবান শাসকরা এই আক্রমণের অনুমোদ করেনি। পাকিস্তানের উদ্বেগ কাবুল জানানো হয়েছে, এমন পুরনো মন্ত্রই পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি।
সূত্র: আল অ্যারাবিয়্যা পোস্ট