ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

মাস পেরিয়ে পেনশন স্কিমে যুক্ত ১৩ হাজার মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার

দেশের নাগরিকদের জন্য চালু হওয়া বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) এক মাস পেরিয়ে গেছে। গত ১৭ই আগস্ট পেনশন স্কিম উদ্বোধন করা হয়েছিল। সোমবার পর্যন্ত কিস্তির টাকা জমা দিয়ে বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন নিয়েছেন ১২ হাজার ৯৭০ জন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৭০ জন। নিবন্ধন হিসাব করলে সংখ্যা অনেক বেশি হবে, তবে আমরা শুধু নিবন্ধনের হিসাব আমলে নিচ্ছি না। টাকা জমা দিয়ে আক্ষরিক অর্থে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের হিসাব নিচ্ছি। গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ধরনের একটি প্রোগ্রামের জন্য এক মাস বেশি সময় না। যারা যুক্ত হয়েছেন তারা স্বতস্ফূর্ত তাগিদে যুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে আরও প্রচারণা দরকার আছে।

বিজ্ঞাপন
আর একটি বিষয় হচ্ছে, মানুষ স্কিম করার আগে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতাও হিসাব করছে। মানুষকে সময় দিতে হবে, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা বাড়বে। 

আপনারা যদি সিস্টেমটা দেখেন, পেনশন স্কিম গ্রহণকারীকে এখনো যেমন কোথাও যেতে হয় না, ভবিষ্যতেও যেতে হবে না। আবেদনে তিনি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে দিচ্ছেন। তিনি যখন পেনশন পাবেন, তখন ইএফটি’র মাধ্যমে তার প্রাপ্য টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাবে। কোনো মানুষের সান্নিধ্যে যেহেতু আসা লাগছে না, তাই হয়রানির প্রশ্নই নেই। যখন স্কিম পূর্ণতা লাভ করবে, তখন অটো সিস্টেমে পেনশনের টাকা তার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম- এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। চালুর প্রথম দিনেই এতে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন।

 অন্যদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ। যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরও ৫০০ টাকার ভর্তুকি। সবমিলিয়ে, সবার জন্যই থাকছে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাড়তি কয়েকগুণ মুনাফা।  অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথিবীর বহুদেশেই চালু আছে জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা। যেগুলো চলছে ঠিকঠাক। বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন খাতে জমা হওয়া অর্থ যাবে লাভজনক বিনিয়োগে, তা থেকে প্রাপ্ত মুনাফাই জমা হবে স্কিমের হিসাবে। ফলে বেগ পেতে হবে না খুব একটা। আর পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়ার যোগ্য হবেন এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে। যা সর্বজনীন পেনশন আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

রূপালী লাইফ ইন্সুইরেন্স আমার ছোট বোনের ৭৫ হাজার টাকা মেরে দিয়েছে কোন প্রতিকার পাইনি।আমার এক বন্ধুর ১ লক্ষ টাকা দিচ্ছে না মেয়াদ শেষ হলেও। আমার আর এক বন্ধু র২২ হাজার টাকা অও মেরে দিয়েছে।

Helal
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৫:২৪ অপরাহ্ন

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status