বিবিধ
কাশ্মীরে সংঘর্ষ: ভারতীয় বাহিনীর আত্মসমর্পণের ভুয়া তথ্য ভাইরাল
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৭:০৯ অপরাহ্ন

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অনন্তনাগের কোকারনাগে সন্ত্রাসীদের দমনে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হলে বুধবার ভোরের দিকে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘাতের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী সংঘর্ষে হেরে গিয়ে আত্মসমপর্ণ করেছে। তবে সেই দাবি যে মিথ্যা, সেটি উঠে এসেছে ডিএফআরএসি এর ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধানে।
ডিএফআরএসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া ওই দাবি করা হয়েছে মূলত পাকিস্তান পরিচালিত কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে। ‘এয়ার অপারেশনস সিন্ডিকেট’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট ক্যাপশনসহ একটি ছবি শেয়ার করেছে। তাতে বলা হয়েছে, “অনন্তনাগে সাম্প্রতিক মুখোমুখি সংঘর্ষে ভারতীয় বাহিনী কীভাবে আত্মসমর্পণ করেছে, সে ব্যাপারে আকর্ষণীয় বর্ণনা উঠে আসছে। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, ভারতীয়রা আধুনিক সামরিক সক্ষমতা নিয়ে গর্ব করলেও এখনও তাদের মানববিহনী ড্রোন (ইউএভি) ও কোয়াডকপ্টারে নজরদারির অভাব রয়েছে।”
‘দ্য স্ট্র্যাটেজিক সিন্ডিকেট’ নামে আরেকটি অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটারে (এক্স) একই দাবি করা হয়েছে। যে দাবি করা হচ্ছে সেগুলো হল-
• মুখোমুখি সংঘর্ষে ভারতীয় বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে।
• কর্নেল ও মেজররা পদোন্নতির আশায় কাশ্মীরিদের নির্মূলে অভিযান চালাচ্ছে।
• ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটকে কাশ্মীরি যোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
ফ্যাক্ট চেক ডিএফআরএসি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট চেক করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতি থেকে এই দাবিগুলো ভুয়া ও ভিত্তিহীন নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চিনার কর্পস বলছে, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি রাতে গারোল ও অনন্তনাগে একটি যৌথ অভিযান শুরু করে। হয়েছিল। দুই সেনা সদস্য এবং জম্মু-কাশ্মীরের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপারেশন চলছে।”
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও ওই সংঘর্ষ নিয়ে টুইট করেছে। ভাইরাও ভুয়া ওই দাবির সঙ্গে সেই টুইটের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর ধনচাক এবং ডিএসপি হিমানুন ভাট সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে মারা যান। মূলত ভারতীয় বাহিনী কখনওই আত্মসমর্পণ করেনি। কোনো কর্মকর্তাকে হস্তান্তর করাও হয়নি।