বিবিধ
ধর্মাবমাননার অভিযোগ: পাকিস্তানে গির্জায় ভাঙচুর, আগুন
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৯ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
ধর্মাবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ফয়সালাবাদ জেলায় বুধবার একটি গির্জা তাণ্ডব চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই ঘটনা হতাশা জানিয়ে লাহোর ভিত্তিক বিশপ আজাদ মার্শাল টুইটে লিখেছেন, “আমি লেখার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ফয়সালাবাদ জেলার জরানওয়ালার ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ঘটনায় আমরা বিশপ, পুরোহিত ও সাধারণ মানুষ গভীরভাবে ব্যথিত। এই পোস্ট যখন লিখছি, তখনও একটি গির্জায় আগুন জ্বলছে।” কোরআন অবমাননার অভিযোগে বাইবেল অসম্মান ও খৃস্টানদেরকে নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ১৯৪৭ সালে সহনশীল দেশ তৈরির অভিপ্রায়ে পাকিস্তান স্বাধীন হলে সেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা খুব সাধারণ। ব্লাসফেমি বা ইসলাম ধর্ম অবমাননা পাকিস্তানে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও এ আইনে এখনও পর্যন্ত কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। তবে এ ধরনের অভিযোগ ওঠার পর উন্মত্ত জনতার হাতে অনেকেই খুন হবার নজির রয়েছে। রয়টার্স বলছে, পুলিশ খৃস্টান সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের কাছে কোরআনের কয়েকটি পাতা পাওয়া গেছে যেখানে লাল কালিতে 'অবমাননাকর' মন্তব্য লেখা ছিল বলে পুলিশ দাবি করছে। গত মাসে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ফোকাস পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নাভিদ ওয়াল্টার জানান, স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এর পেছনে দেশটিতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাসহ অনেক কারণ আছে বলেও মনে করেন তিনি। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ধর্মাবমাননার আইন তৈরি করা হয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘযুদের দমন করার জন্য। এই আইন চালুর পর থেকে ওই অভিযোগ তুলে অনেককে হত্যা ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া