বিবিধ
৩৭০ ধারা বাতিল: অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামে
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৫ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, ২:০৬ অপরাহ্ন
জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের চতুর্থ বার্ষিকী হচ্ছে ৫ই অগাস্ট। ২০১৯ সালে ওই ধারা বাতিলের পর এখন কাশ্মীরে সড়ক উন্নয়নের ব্যাপক সফলতার দাবি করতে পারে স্থানীয় প্রশাসন।
এএনআই লিখেছে, জম্মু-কাশ্মীরে সড়ক ও সেতু নির্মাণে গত চার বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এই কয়েক বছরে সেখানকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ চলছে। সড়কে মানসম্মত ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের কমবেশি সব জেলাতেই মানসম্মত সড়ক যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। মানসম্মত ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। দৃষ্টি নন্দন সড়তক যোগাযোগ তৈরি হয়েছে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ৫৮ হাজার ৪৭৭ কোটি রুপির ৫৩টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। সড়ক, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পর্যটন, কৃষি ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক কাজের এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
চার বছর আগে ওই ধারা বাতিলের পর সড়ক নির্মাণের গতি দিনে ৬ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ২০ দশমিক ৬ কিলোমিটার হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের মোট সড়কের দৈর্ঘ দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ১৪১ কিলোমিটার।
এছাড়া ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংস্কার হচ্ছে। সেখানে নতুন নতুন সুযোগ ও প্রবৃদ্ধির পথ তৈরি হয়েছে। কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইন্টারন্টে পরিষেবার সহজলভ্যতা কাশ্মীরে ডিজিটাল ব্যবসার কার্যক্রম সম্প্রসারণের অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।
বিভিন্ন এলাকায় পর্যটকদের পদচারণা বেড়েছে। সীমান্ত পর্যটন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এএনআই লিখেছে, ৩৭০ ধারা বাতিল পরবর্তী সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। ওই ধারা বাতিল বা রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য স্থিতিশীল ও প্রতিবন্ধকতাবিহীন শিক্ষার পরিবেশ বজায় রয়েছে।
সূত্র: এএনআই