দেশ বিদেশ
গাড়ল পালনে সফল চিলমারীর রফিকুল
সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে
১১ জুন ২০২৩, রবিবারনতুন একটি প্রজাতি গাড়ল পালন করে ভাগ্য বদলের সাফল্য গড়তে শুরু করেছে সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম। সেনাবাহিনী থেকে অবসরে আসার পর পরামর্শ সাপেক্ষে পরিকল্পনা করেন এবং গাড়ল পালন শুরু করেন সেইসঙ্গে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়েও যাচ্ছেন। গাড়ল পালনে সাফল্য অর্জন করা ব্যক্তিটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম গাড়ল পালন ও বিক্রি করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয়ের স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তোলেন গাড়লের খামার। গাড়ল পালনে ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করায় সফলতার স্বপ্ন এখন রূপ নিচ্ছে বাস্তবে। গত বছর গাড়ল সম্পর্ক ধারণা নিয়ে এর পালন শুরু করেন জানিয়ে সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি প্রথমে সিদ্ধান্ত নেন গরু ও ভেড়ার খামার করার। পরে গাড়ল সম্পর্কে জেনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে গাড়লের খামার গড়ে তোলেন।
এজন্য তিনি দেশের অর্ধশতাধিক খামার ঘুরে গাড়ল পালন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেন। তিনি আরও জানান, খামার করতে গেলে শুরুতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। সাবেক এই সেনা সদস্য প্রথম দফায় মেহেরপুরের এক খামারির মাধ্যমে ভারত থেকে নিয়ে আসা ৫২টি গাড়ল ক্রয় করে শুরু করেন।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, গাড়ল দেখতে অনেকটা ভেড়ার মতো। তবে এরা আকারে এবং ওজনে ভেড়ার চেয়েও বড়। আসলে এরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাগপুরের ভেড়ার ক্রস ব্রিড। মাত্র এক বছর বয়স থেকে বাচ্চা দেয়া শুরু করে। সাধারণত বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোশারফ হোসেন বলেন, গাড়ল পালন অত্যন্ত লাভজনক। কুড়িগ্রামের ভূ-প্রকৃতি গাড়ল পালনের জন্য উপযোগী। গাড়লে মাংসের পরিমাণ অনেক বেশি। আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি গাড়ল পালন অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক। গাড়ল সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শুনেছি এটি পালন অনেক লাভজনক, আর চিলমারীর চরাঞ্চলের জন্য উপযোগী। তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চলের মানুষজন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া পালনে যেমন সাফল্য অর্জন করছেন এবার গাড়ল পালনেও লাভজনক হবেন বলে আশা করছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।